লালমনিরহাটে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাইজ উদ্দিন (৪০) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২ আগস্ট) ভোরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের পূর্ব দুহুলী গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
নিহত তাইজ উদ্দিন ওই গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। আহতরা হলেন- একই গ্রামের মৃত ইব্রাহিমের ছেলে আইয়ুব আলী, খোকার ছেলে আমজাদ আলী ও জাফর আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পূর্ব দুহুলী গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তাইজ উদ্দিন ও রেয়াজুলের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত নজর আলীর ছেলে করিম মিয়ার জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। যা নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় জোরগাছ বাজারে টিসিবি পণ্য ক্রয় করে বাড়ি ফিরছিলেন তাইজ উদ্দিন। এ সময় তার পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় করিম মিয়া ও তার লোকজন। স্থানীয় পথচারী আইয়ুব আলী, আমজাদ ও কামরুল তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাদেরকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে চারজন গুরুতর জখম হন।
খবর পেয়ে গ্রামবাসী ছুটে এলে হামলাকারীরা নিজেদের বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করলে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা তাদেরকে অবরুদ্ধ করে পুলিশে খবর দেন। আহত চারজনকে উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে আশঙ্কাজানক অবস্থায় তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাইজ উদ্দিনের মৃত্যু হয়।
অবরুদ্ধ হামলাকারীরা কৌশলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে অবরুদ্ধ থেকে মুক্ত করে দিলে পালিয়ে যান হামলাকারীরা।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন কৌশলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চাওয়ায় তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে যখন মৃত্যুর খবর এসেছে তখন তারা পালিয়েছেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নিয়াজ আহমেদ সিপন/আরএআর