স্কুল শিক্ষার্থী হৃদয় খান নিবিড়ের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এই মানববন্ধনে অংশ নেন।

বুধবার (২ আগস্ট) বেলা ১১ টায় শরীয়তপুরের শিশু কানন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন শেষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

শিশু কানন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক মশিউর রহমান বলেন, গত সোমবার বিকেল ৪টায় হৃদয় খান নিবিরকে অপহরণের পর সে চিৎকার করলে পেছন থেকে তাকে আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। নিবিড় মেধাবী ও বিনয়ী শিক্ষার্থী ছিল। তার হত্যাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাই।

অভিভাবকদের মধ্যে নজরুল ইসলাম রিপন বলেন, আমার ছেলে উদয় নিবিড়ের সহপাঠী। আমরা চাই না, কোনো বাবা তার ছেলের মুখে বাবা ডাক শোনা থেকে বঞ্চিত হোক। যারা নিবিড়কে হত্যার পরিকল্পনা করে হত্যা করেছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

শিশু কানন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অধ্যক্ষ বাদল কৃষ্ণ পাল বলেন, হৃদয় খান নিবিড় শিশু কানন কিন্ডারগার্ডেনের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তার মত শিশুরাই আগামী দিনে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতো। এমন একজন সুদর্শন ফুটফুটে শিশুকে যারা অপহরণ করে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে শিশু কানন কিন্ডারগার্টেন পরিবার। স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ ও নিবিড়ের সহপাঠীরা চায় না কোনো স্কুলের বেঞ্চ খালি হোক, মায়েরা চাই না তাদের বুক খালি হোক। যারা নিবিরকে হত্যা করেছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করার সময় তারা নিবিড় হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডের খুঁজে বের করে অপরাধী সকলকে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে শাস্তি নিশ্চিতের আশ্বাস প্রদান করেন।

স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের খিলগাঁও গ্রামের প্রবাসী মনির হোসেন খানের একমাত্র ছেলে হৃদয় খান নিবিড়। তাকে গত সোমবার অপহরণ করে প্রথমে হত্যা করা হয়, তারপর তার মায়ের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ মাটিচাপা খুঁড়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সাইফুল ইসলাম সাইফ রুদাদ/এএএ