স্ত্রীকে হত্যা করে ৭ দিন সেপটিক ট্যাংকে রাখেন স্বামী
বাগেরহাটে স্ত্রী হত্যা করে সাত দিন সেপটিক ট্যাংকে রাখার ঘটনায় স্বামী মোহাম্মদ আলী হোসেনের (৩৭) নামে মামলা করা হয়েছে। রোববার (৬ আগস্ট) সকালে নিহত ফিরোজা বেগমের (৩৫) মেয়ে পূর্ণিমা বেগম বাদী হয়ে আলী হোসেনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তার আলী হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
নিহত ফিরোজা বেগম বাগেরহাট সদর উপজেলার বেগম দেওয়ানবাটি গ্রামের গফুর মোল্লা ওরফে ছুইটের মেয়ে। বছর দেড়েক আগে মাত্র দুই দিনের পরিচয়ের সূত্রে শহরের নাগেরবাজার এলাকায় আজিজ মোল্লার ছেলে মোহাম্মাদ আলী হোসেনকে বিয়ে করেন স্বামী পরিত্যক্তা ফিরোজা বেগম।
বিজ্ঞাপন
বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, নিহত নারীর মেয়ে পূর্ণিমা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামি আলী হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ফিরোজা বেগমের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে শনিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে বাগেরহাট সদর উপজেলার দেওয়ানবাটি এলাকায় নিজ বাড়ির শৌচাগার থেকে ফিরোজা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী মোহাম্মাদ আলী হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।
বিজ্ঞাপন
পারিবারের দাবি- পরিকল্পিতভাবে ৩০ জুলাই রাতে ফিরোজাকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে গুম করেছিলেন আলী হোসেন। পরে ৩ আগস্ট নিজের স্ত্রীকে নিখোঁজ দাবি করে তিনি বাগেরহাট মডেল থানায় জিডি করেন।
শেখ আবু তালেব/আরএআর