সীমানা জটিলতা
বন্ধ সড়কের নির্মাণকাজ, কাদায় ভোগান্তি
রংপুরের কাউনিয়ায় সীমানা জটিলতায় বন্ধ রয়েছে গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণ কাজ। এতে কাদায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রামের লোকজনদের। এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী বলছেন, স্থানীয়ভাবে সীমানা জটিলতার সমাধান না করলে ঠিকাদার ওই স্থানে যেটুকু বালু, খোয়া ফেলেছেন তা তুলে ফেলা হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের মৌউলটারী থেকে সাব্দী গ্রাম পর্যন্ত গ্রামীণ সড়কটির দৈর্ঘ্য ৮৭০ মিটার। এ সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (আরআইআরডিপি-৩) আওতায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাকাকরণ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
উপজেলার ঠিকাদার আব্দুল মান্নান ফুলু ৬২ লাখ টাকা চুক্তিমূল্যে সড়কটি পাকাকরণের কাজ পেয়েছেন। কিন্তু সড়কের ৮৭০ মিটারের মধ্যে সীমানা জটিলতায় ৫০ মিটার সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদার।
সাব্দী এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাস্তাটি কাঁচা থাকায় বর্ষাকালে গ্রামের লোকজন হাট-বাজারে যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়েছিল। এখন রাস্তাটি পাকা হচ্ছে। কিন্তু কিছু স্থানে সীমানা জটিলতার কারণে সড়কের পাকাকরণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ওই এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত মাসে ঠিকাদার ভেকু দিয়ে রাস্তার খনন করার পর দেখা দেয় জটিলতা। এখন খননস্থানে কাদা পানির কারণে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রামের লোকজনদের। সমাধানের কোনো উদ্যোগও নিচ্ছে না কেউ।
অটোবাইক চালক মিলন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, কিছু স্থানে কাজ বন্ধ থাকায় আমাদের ভোগান্তির সীমা নেই। কাদায় গাড়ি আটকে যায়। যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে ঢেলে গাড়ি তুলতে হয়।
শহীদবাগ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রোস্তম আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় কারখানা মালিকের মধ্যে সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে রাস্তার পাকাকরণ কাজ বন্ধ রয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসেছিলেন। কিন্তু সীমানা জটিলতা সমাধান না হওয়ায় কাদা পানির কারণে পথচারী ও গাড়ির চালকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদার আব্দুল মান্নান ফুলু ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্থানীয়ভাবে সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে ৫০ মিটার সড়কের কাজ বন্ধ রয়েছে। আর বাকী ৮২০ মিটার সড়কের কাজ চলছে। সীমানা জটিলতার সমাধান না হলে ওই ৫০ মিটার সড়কের পাকাকরণের কাজ করা সম্ভব নয়। বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা প্রকৌশলী অবগত আছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্থানীয়ভাবে সীমানা জটিলতা সমাধান না করলে ওই ৫০ মিটার সড়কের পাকাকরণের কাজ আর হবে না। ওই স্থানে যেটুকু বালু, খোয়া ফেলেছে ঠিকাদার, সেটুকু তুলে ফেলা হবে। তবে জটিলতা সমাধানের চেষ্টা করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিদুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে সীমানা জটিলতা সমাধানের জন্য মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও চমক কারখানার মালিককে বলে এসেছি। কিন্তু বিষয়টি কেউ মানছে না। প্রশাসনিকভাবে নোটিশ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় কাদার সৃষ্টি হয়েছে। ওই স্থান চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার জন্য প্রকৌশলীকে বলে দেওয়া হবে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ