বসতঘরের ভেতরেই ডিম দিয়েছিল বিষধর গোখরা সাপ। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়ে বসতঘরের মধ্যে খেলা করছিল। বিষয়টি নজরে আসে বাড়ির সদস্যদের। তারা একে একে ১৫টি বাচ্চা মেরে ফেলেন।  বুধবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে এক সাপুড়ের সহযোগিতায় জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আরও সাতটি গোখরার বাচ্চা।

ফরিদপুরের মধুখালী পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের গাড়াখোলা এলাকার মো. হাসান বিশ্বাসের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে বড় সাপগুলোকে ধরতে না পাড়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

হাসান বিশ্বাসের বড় ছেলে সাগর বিশ্বাস বলেন, গত দুই দিন ধরে বাড়ির শোয়ার ঘরের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি সাপের বাচ্চা দেখা যায়। এভাবে একে একে প্রায় ১৫টি গোখরা সাপের বাচ্চা বাড়ির লোকজন মেরে ফেলে। পরে সাপুড়েকে খবর দিলে বুধবার বাড়ির বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে সাপুড়ে রিয়াজ মিয়া আরেও সাতটি সাপের বাচ্চা উদ্ধার করেন। তবে বড় সাপটি ধরা সম্ভব হয়নি।

সাপুড়ে রিয়াজ মিয়ার বাড়ি কামারখালী ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে। রিয়াজ মিয়া বলেন, যে সাপের বাচ্চাগুলো ধরা হয়েছে সেগুলি গোখরা সাপের বাচ্চা। একটি গোখরা সাপ ২২ থেকে ৪২টি পর্যন্ত ডিম দেয়। হাসান বিশ্বাসের বাড়ি থেকে সাতটি জীবিত সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বড় সাপ দুটি ধরা সম্ভব হয়নি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মধুখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আনিসুর রহমান বলেন, হাসানে বিশ্বাসের বাড়ি থেকে গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। বড় দুটি সাপ ধরা না পড়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

জহির হোসেন/আরএআর