সাতক্ষীরায় কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে মিলন গাজী (২২) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জি আজম এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মিলন গাজী আশাশুনি উপজেলার বৈরামপুর গ্রামের কালাম গাজীর ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার বৈরামপুর গ্রামের এক কিশোরী (১৪) স্থানীয় মক্তবে পড়াশোনা করতো। মক্তবে যাওয়া আসার পথে মিলন গাজী তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিলন গাজী ওই কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাড়ির পাশের একটি পুরাতন ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ২০১১ সালের ১৩ অক্টোবর সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের অভিযোগে মিলন গাজীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। 

এ মামলায় আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জি আজম আসামি মিলন গাজীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদেণ্ডর আদেশ দেন।

সাতক্ষীরা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি আব্দুল লতিফ জানান, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন মিলন গাজী নামে এক যুবক। পরবর্তীতে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। দীর্ঘদিন যাবত মামলাটি পর্যালোচনা শেষে আজকে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। তবে আসামি পলাতক রয়েছেন।

সোহাগ হোসেন/আরএআর