তিনদিন পর বাংলাদেশি নারীর মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ধরলা নদীতে ডুবে নিখোঁজের তিনদিন পর ভারত থেকে মমিনা খাতুন (৩০) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
মঙ্গলবার (৮আগস্ট) সন্ধ্যায় পাটগ্রাম উপজেলার খারিজা জোংড়া জুগিটারী সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় বিএসএফ ও ৬১ বিজিবি এবং পাটগ্রাম থানা পুলিশের মাধ্যমে ওই নারীর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
বিজ্ঞাপন
নিহত মমিনা খাতুন হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের মোবারক হোসেনের মেয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট পাটগ্রাম উপজেলার খারিজা জোংড়া যুগিটারী সীমান্তে ধরলা নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন মমিনা খাতুন। পরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা শীতলখুচি এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে পরিবারের লোকজন ভারতে বসবাসকারী আত্মীয়দের খবর দিলে তারা শীতলখুচি এলাকার বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত করেন।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, ধরলার পাড় দিয়ে হাঁটতে গিয়ে হঠাৎ পড়ে গিয়ে ডুবে যায় ওই নারী। পরে পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। এরপর গত ৭ আগস্ট সোমবার খারিজা জোংড়া সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের পর দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার (৮আগস্ট) সন্ধ্যায় মমিনা খাতুনের মরদেহ বিজিবি ও পাটগ্রাম থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
নিহতের ভাই আব্দুল খালেক বলেন, ধরলা নদীতে মানসিক প্রতিবন্ধী বোন মমিনা খাতুন নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারি- ভারতে এক অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরে ভারতে থাকা আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে লাশ শনাক্ত করি। বিজিবি ও বিএসএফের মাধ্যমে কাগজপত্র জমা দিয়ে তিনদিন পর মরদেহ পেয়ে রাতেই দাফন করি।
বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল বলেন, মমিনা খাতুন দীর্ঘদিন থেকে মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। নিখোঁজের পর ভারত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
পাটগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহাবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিএসএফের কাছ থেকে নিহত নারীর মরদেহ গ্রহণ করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন বলেন, ওই নারীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তিস্তা ব্যাটলিয়ন ২ (৬১ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নিয়াজ আহমেদ সিপন/এমজে