ফরিদপুরের সদরপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের কিল-ঘুষিতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার বাবা ওহাব মোল্লা (৬৭)। এ ঘটনায় মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে জাহিদ মোল্লাকে (২৩) আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুর ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুরের সদরপুরের ঢেউখালী ইউনিয়নের চর ডোবাইল গ্রামে।

কিল-ঘুষিতে আহত হয়ে মারা যাওয়া ওহাব মোল্লা একজন কৃষক। তিনি সাত মেয়ে ও এক ছেলের বাবা। ছেলেটি গত চার বছর আগে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এরপর থেকে তাকে বাড়িতে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হত। তিনি অবিবাহিত ।

ওই এলাকার বাসিন্দারা জানায়, রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বাবা ছেলের শিকল খুলে দেন। বিকেল ৩টার দিকে শিকল থেকে মুক্ত হয়েই জাহিদ মোল্লা বাবার নাকে, মুখে ও মাথায় কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন। এ ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন বাবা বৃদ্ধ ওহাব মোল্লা।

এলাকাবাসী আহতাবস্থায় ওহাব মোল্লাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৫টার দিকে মারা যান ওয়াব মোল্লা। 

ঢেউখালী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, জাহিদ মোল্লা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তাকে বেঁধে রাখা হতো। আজ ওহাব মোল্লা ছেলের শিকলটি খুলে দেন। এর পরই জাহিদ বাবাকে কিল-ঘুষি মারা শুরু করেন। পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা এবং এলাকাবাসী ওহাব মোল্লাকে উদ্ধার করে।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদ জানান, এ ঘটনার পর জাহিদ মোল্লাকে সদরপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। 

তিনি বলেন, মৃতদেহটি সদরপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরিবারের আপত্তি না থাকলে মৃতদেহটি ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

জহির হোসেন/কেএ