দগ্ধ বাবার পর মারা গেলেন ছেলেও
মো. মিনারুল ইসলাম
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজারের মুক্তারবাড়ি এলাকায় বিস্ফোরণে দগ্ধ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার মো. মিনারুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আতাউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ সকাল ১০টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার (মিনারুল ইসলাম) মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, ৯৫ শতাংশ বার্ন অবস্থায় ফরমান মণ্ডল, তার ছেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা মো. মিনারুল ইসলাম ও গ্যাস মিস্ত্রি শফিকুল ইসলাম (৩৪) এবং ৮৫ শতাংশ বার্ন অবস্থায় মিনারুল ইসলামের মা খাদিজা বেগমকে (৬৫) হাসপাতালে আনা হয়। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরমান মণ্ডল মারা যান। আর আজ সকাল ১০টার দিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিনারুল ইসলাম মারা যান। বর্তমানে খাদিজা বেগম ও শফিকুল ইসলামের চিকিৎসা চলছে।
>>> গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, মা-বাবাসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা দগ্ধ
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, গাজীপুরের বোর্ডবাজারের মুক্তারবাড়ি এলাকার জমির উদ্দিন রোডে মিনারুল ইসলাম তার স্ত্রী, সন্তান ও বাবা-মাকে নিয়ে বসবাস করতেন। গত রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে তাদের রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজার থেকে একটি গ্যাসের সিলিন্ডার আনা হয়। কিন্তু সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে সংযোগ দেওয়ার পর গ্যাস জ্বলছিল না। পরে সিলিন্ডারের দোকান থেকে একজন মিস্ত্রি নিয়ে এসে তা মেরামত করা হয়। মেরামত শেষে চুলা জ্বালাতে গেলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রান্নাঘরে থাকা মা খাদিজা বেগম, পাশের কক্ষে থাকা মিনারুল ও তার বাবা ফরমান মণ্ডল অগ্নিদগ্ধ হন। এ সময় তার স্ত্রী ও সন্তান অন্য একটি কক্ষে থাকায় রক্ষা পান। বিস্ফোরণে ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।
>>> গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ বাবার মৃত্যু, ছেলে আইসিইউতে
গাজীপুরের গাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্যাস বিস্ফারণে আহত চারজনের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন। বাকি দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
শিহাব খান/আরকে