রংপুরে বাংলা ভাষায় চিকিৎসা বিষয়ক গ্রন্থ প্রণয়ন ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে বাংলা একাডেমি ও হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের আয়োজনে আরডিআরএস ভবনের বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এই কর্মশালায় শিক্ষক, চিকিৎসক, লেখক, স্বাস্থ্যকর্মী, মেডিকেল শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।

হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এএইচএম লোকমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানে আমাদের প্রজন্মকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষায় চিকিৎসাশাস্ত্র চর্চা, স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রমে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন জরুরি। বাংলা ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখার সঙ্গে নিজস্ব ভাষার প্রতি শিক্ষার্থীদের মনোযোগী করতে হবে। ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদভিত্তিক সহজ ও বোধগম্য প্রকাশনা প্রকাশে বাংলা একাডেমি কাজ করছে।

কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির সচিব ড. হাসান কবীর, পরিচালক ডা. কেএম মুজাহিদুল ইসলাম, রংপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাহফুজার রহমান ও হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাহ মো. সরওয়ার জাহান।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রমে পাঠ্যপুস্তকগুলো নিজস্ব ভাষায় প্রকাশ করা হয়। এতে করে ওই দেশের শিক্ষার্থীরা সহজে পড়াশোনা করে ভালো চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা মাঠ পর্যায়ে সঠিক পরামর্শ দিতে পারছেন এবং সাধারণ মানুষ রোগ সম্পর্কে অবগত হতে পারেন। তাই আগামীতে স্বাস্থ্য শিক্ষায় বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষায় পাঠ্যবই সংযোজনের চিন্তা করছে। এটি হলে যেকোনো রোগে আক্রান্তরা সঠিক স্থানে সঠিক সময়ে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হতে পারবেন। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারা দেশে বিভিন্ন স্তরের মানুষদের নিয়ে সভা, সেমিনার করে নানা সুপারিশমালার আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ