কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০-২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুই বিএনপি নেতা। আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

শনিবার (২৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের উন্দানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী জানান, দুপুরে লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের উন্দানিয়া গ্রামে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলামের বাড়িতে কর্মী সভার আয়োজন করে ইউনিয়ন বিএনপি। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই দুপুর ২টার দিকে সভাস্থলের পাশে স্থানীয় গৈয়ারভাঙা বাজারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় কর্মীসভার চেয়ার-টেবিলসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। ছিঁড়ে ফেলা হয় সামিয়ানা। ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলামের বাড়িঘর ভাঙচুর করা এবং লুটপাট করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতারা ছররা গুলি ছুড়লে লালমাই উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদ খানসহ দুজনের গুলি লাগে। আমি তাদের হাসপাতালে দেখতে যাই, এখন তারা শঙ্কামুক্ত। 

তবে হামলার জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। লালমাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আয়াত উল্লাহ জানান, আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে আমাদের ১০-১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেব। 

লালমাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই পক্ষের গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। 

আরিফ আজগর/আরএআর