ঢাকায় আইসিইউ না পেয়ে বগুড়ায় এসেও বাঁচতে পারলেন না করোনা আক্রান্ত কুলসুম আরা (৪০)। রোববার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে নেয়ার পথেই মারা যান তিনি।

করোনায় মারা যাওয়া কুলসুম আরা নওগাঁ সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের ডাকাহার গ্রামের ইমদাদুল হকের স্ত্রী। তিনি পেশায় গৃহিণী ছিলেন।

বগুড়ায় গত ২৪ ঘন্টায় ৩০৬টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪৭ জন । শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৬ জন।

নতুন আক্রান্ত ৪৭ জনের মধ্য সদরের ৩৯ জন, শাজাহানপুর ৩ জন, আদমদীঘি ২ জন এবং বাকি ৩ জন শেরপুর, কাহালু ও শিবগঞ্জের বাসিন্দা।

রোববার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন। এর আগের দিন জেলায় ১৯ জনের দেহে করোনা শনাক্তের প্রমাণ মিলেছে।

তিনি জানান, ৩ এপ্রিল,  জেলার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ২৮২টি নমুনায় ৪১জনের পজিটিভ এবং টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ২৪টি নমুনার মধ্যে ৬ জনের পজিটিভ এসেছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হলেন ১০ হাজার ৪৯৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৮৪৭ জন। এছাড়া নতুন করে ১ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃত্যু ২৬৫ জন।

টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড-১৯ ওয়ার্ডের মুখপাত্র আব্দুর রহিম রুবেল জানান, কুলসুম আরা গত ৩ এপ্রিল, ঢাকায় করোনা আক্রান্ত হন। তার তীব্র শ্বাসকষ্ট ছিল। ঢাকায় আইসিইউ সেবা না পেয়ে বগুড়ায় নিয়ে আসা হয়েছিল। এখানে আইসিইউতে নেয়ার পূর্বেই কুলসুম আরা মারা যান।

সাখাওয়াত হোসেন জনি/এমআইএইচ