কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাঞ্জারচর গ্রামে আত্মীয়র বাড়ি থেকে মানিক মিয়া (৩৫) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  নিহত ওই যুবকের বুকের ডানদিকে ‘গুলির’ চিহ্ন রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে বন্দবেড় ইউনিয়নের বাঞ্জারচর গ্রামের আব্দুল মোতালেবের বাড়ি থেকে পুলিশ মানিক মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। আব্দুল মোতালেব নিহত মানিকের খালাত ভাই। নিহতের বাড়ি রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বেহুলারচর গ্রামে ও বাবার নাম আব্দুল বাতেন। 

রৌমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার জানান, নিহত যুবকের বুকের ডান দিকে দুটি ‘গুলির’ চিহ্ন রয়েছে। তবে গুলির চিহ্ন হলে বুক ফুটো করে বের হয়ে যাওয়ার কথা। ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে এটি কিসের চিহ্ন। তাছাড়া যে গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তা সীমান্ত থেকে অনেক দূরে। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার পরিবার বা আত্মীয় স্বজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। 

স্থানীয়দের ধারণা শনিবার রাতে নিহত যুবক ভারত থেকে গরু আনতে অন্যান্যদের সঙ্গে রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বেহুলারচর সীমান্ত এলাকায় গিয়ে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হয়েছেন। সীমান্তের ঘটনা হওয়ায় মানিকের সহযোগীরা খালাত ভাই মোতালেবের বাড়িতে এনে মরদেহ লুকিয়ে রাখে।

এ বিষয়ে জামালপুর ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মাশরুকী বলেন, বিষয়টি জেনেছি। তবে সীমান্তের ঘটনা কি না তা নিশ্চিত না।

জুয়েল রানা/আরকে