আটককৃত মো. রফিক / ছবি - ঢাকা পোস্ট

দিনের বেলায় কাঁচা মাল ব্যবসায়ী আর রাতের বেলায় বাজারের নাইট গার্ড মো. রফিক (৪৫)। এর বাহিরেও ভিন্ন পরিচয় মিলেছে তার। রফিক পেশাদার চোরাই মাল ক্রয় চক্রের মূলহোতা। তিনি এলাকার চোর চক্রের সদস্যদের বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানসহ চোরাই মাল গ্রহণ করেন। এছাড়া কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেলে চোরদের খবর দিয়ে সহযোগিতা করতেন এবং বিনিময়ে প্রত্যেক চোরদের কাছ থেকে তিনি মাসিক ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে চাঁদা নিতেন।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।

এর আগে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজদী বাজার থেকে নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ চোরাই পণ্যসহ মো. রফিককে আটক করা হয়। পরে রোববার মামলা রুজু করে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজচরা গ্রামের মৃত সিদ্দিক উল্যাহর ছেলে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, রফিক সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজদী বাজারের নাইট গার্ড ও কাঁচামালের ব্যবসার আড়ালে চোরাই চক্রকে পুলিশের গতিবিধি জানাতেন। বিনিময়ে চোর চক্রের সদস্যরা তাকে মাসিক ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে দিতেন। হাতিয়ার এলাকার চোর ও সংঘবদ্ধ নৌ-ডাকাতদের লুণ্ঠিত মালামাল তিনি অল্পদামে ক্রয় করতেন। তার সঙ্গে পেশাদার চোরাই মাল ক্রেতা-চক্রের আরও সংঘবদ্ধ সদস্য আছে যারা জলে-স্থলে পেশাদার চোর ও নৌ-ডাকাতদের কাছ থেকে স্বল্পমূল্যে চোরাই মাল ক্রয় করতেন।

তিনি আরও বলেন, রফিকের কাছ থেকে নগদ দুই লাখ ৯ হাজার ১৩২ টাকা, ১৩৩ পিস শাড়ি, ৫১ পিস লুঙ্গি, ৩৪ পিস থ্রি পিস, ৬টি পুরনো মোবাইল, চিনি-মুদি মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ। যার বাজারমূল্য তিন লাখ ৪০ হাজার ৭৫২ টাকা। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

হাসিব আল আমিন/এফকে