গণপরিবহন বন্ধের সুযোগে বরিশালে সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে থ্রি-হুইলার

বরিশালে সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সড়ক দখল করে নিয়েছে থ্রি-হুইলার। সঙ্গে ভাড়া বেড়েছে কয়েক গুণ। থ্রি-হুইলার শ্রমিকরা বলছেন, রাজধানী ছেড়ে বাড়ি ফেরা মানুষদের নিয়ে যেতে তারা সড়কে আছেন। 

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে ৭ দিনের জন্য সড়কে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে নগরীতে স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করছে হলুদ অটো, আলফা মাহিন্দ্রা, সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।

সকাল পৌনে ৮টায় নগরীর রুপাতলী বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায়, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনাগামী কয়েক শতাধিক মাহিন্দ্রা, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা অপেক্ষা করছে। লঞ্চ ও বাসে আসা যাত্রীদের নিয়ে ছুটছেন দূরপাল্লার গন্তব্যে। একই চিত্র নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডেও। 

নগরী ঘুরে দেখা গেছে, আগে হলুদ অটো ও মাহিন্দ্রায় ১০ টাকা, সিএনজি ও নীল অটোতে ১৫ টাকা ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও বিধি নিষেধ আরোপের পর কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। ১০ টাকার ভাড়া বাড়িয়ে ৩০ থেকে ৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। আর দূরপাল্লার ক্ষেত্রে খেয়ালখুশি মতো আদায় করা হচ্ছে ভাড়া।

বরিশাল ইজিবাইক শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লতিফ সিকদার লেদু জানান, ইজিবাইক বন্ধের জন্য আমরা স্থানীয় প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাইনি। যে কারণে ক্ষুদ্র পরিবহনগুলো চলাচল করছে। তবে গাড়ি চালকদের বলা আছে, ওভারলোড করে যাত্রী বহন করা যাবে না। ট্রাফিক বিভাগ থেকে যখনই চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হবে তখনই সড়ক ছেড়ে যাবে ইজিবাইক।

তবে অভ্যন্তরীণ রুটের কোনো বাস ছেড়ে যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন রুপাতলী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা অনুসারে আমরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি। চেষ্টা করছি এই সময়ে শ্রমিকদের সহায়তা করার জন্য।

বরিশাল মেট্রোপলিটন (ট্রাফিক) পুলিশের উপ-কমিশনার জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, সরকারি নির্দেশনায় আন্ত:জেলা পরিবহন বন্ধ রাখার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে নগরীর মধ্যে ক্ষুদ্র পরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে উল্লেখ নেই।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি/জেএস