দীর্ঘ দুই দশক পর বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে জেলা ছাত্রলীগ। তবে গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে কোনো ধরনের সম্মেলন ছাড়াই এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ডে রীতিমতো অবাক হয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ।

জানা গেছে, ৬ সেপ্টেম্বর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হেমায়েত উদ্দিন সুমন সেরনিয়াবাত এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের সাক্ষরে ৫১ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এই কমিটি আগামী তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবে।

কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে মো. ফায়জুল হককে। পাঁচজন যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন প্রসেনজিৎ দাস অপু, সৈয়দ জহিরুল ইসলাম মুরাদ, মো. ওবায়দুল হক জুয়েল, খন্দকার রাজু ও মো. নিয়াজ আহমেদ।

আহ্বায়কের দায়িত্ব পাওয়া ফাইজুল হক বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর পর ঘোষিত এ কমিটিতে যাদের স্থান হয়েছে তারা সকলেই ত্যাগী। এই সংগঠনের প্রতি তাদের ত্যাগের বিনিময় পেয়েছেন কমিটিতে স্বীকৃতি। আমরা উপজেলা ছাত্রলীগ আরও সুসংগঠিতভাবে কাজ করবো।

তবে এমন কমিটির সমালোচনা করেছেন সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান মিলন। তিনি বলেন, ২০ বছর পর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি হলো সম্মেলন ছাড়াই। এটি দুঃখজনক। কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে হত্যা মামলার আসামিও রয়েছে। সাবেক ছাত্র নেতা হিসেবে এসব দেখে আমি বিস্মিত ও হতাশ হয়েছি।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সুমন সেরনিয়াবাত বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি। সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের মোবাইলে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন করে আক্তার উজ জামান মিলন মৃধাকে সভাপতি ও মো. রোমানকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদি উপজেলা ছাত্রলীগের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে গঠিত হলো নতুন কমিটি।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএএ