মামাতো বোনের সঙ্গে দেখা করে আর বাড়ি ফেরা হয়নি রাশেদুল ইসলামের। পথে সিএনজিচালিত অটোরিকশা-পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ গেল তার।

গতকাল সকালে নিজ বাড়িতে নামাজে জানাজা শেষে চিরনিদ্রায় শায়িত হন রাশেদ।

রাশেদুল ইসলাম ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫ নং গুপ্টি ইউনিয়নের খোরশেদ আলমের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে রাশেদ ছিলেন দ্বিতীয়। তিনি হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।

দুর্ঘটনায় অপর আহতরা হলেন- অটোরিকশা চালক মিনহাজ (২৬), যাত্রী ফরিদগঞ্জের দুলাল কর্মকারের ছেলে বিজয় কর্মকার(২০), আইয়ুব আলীর ছেলে শহীদুল ইসলাম (২৭)। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বুধবার বিকেলে হাজীগঞ্জ উপজেলার বেলচোঁ বাজার ও সেন্দ্রা গ্যাস পাম্প সংলগ্ন এলাকায় রামগঞ্জগামী একটি অটোরিকশা ও হাজীগঞ্জগামী একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশায় থাকা তিন যাত্রী ও চালক আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে আশঙ্কাজনক বলে ধারণা করেন। পরে রাতেই মৃত্যু হয় রাশেদুল ইসলামের।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রশিদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন গুরুতর আহত হন। বুধবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশেদুল ইসলাম মারা যান। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিএনজি ও পিকআপ জব্দ করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। 

আনোয়ারুল হক/এনএফ