বিএনপি অনেক লাফালাফি করছে : শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর বৃহত্তর সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। ‘দেশ বাঁচাও’ স্লোগানে এই সমাবেশের ডাক দেন তিনি।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় রাইফেলস ক্লাবে সমাবেশ ঘিরে নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শামীম ওসমান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমি দেখছি সম্প্রতি জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাকে অশ্লীল ভাষায় গালি দেওয়া হচ্ছে। তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আন্দোলনের নামে মিছিল করছে। তারা শুধু জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাকেই নয় বরং বঙ্গবন্ধুকে পর্যন্ত নোংরা ভাষায় গালি দিচ্ছে। যা মেনে নেওয়ার মতো না।
শামীম ওসমান বলেন, রাজনীতিতে কিছু হিসাব নিকাশের বিষয় আছে। আমি যে সব জানি তা না। তবে খোঁজখবর রাখি। ওরা ষড়যন্ত্রের খেলায় মেতে উঠেছে। ওরা তারাই যারা স্বাধীনতার সময় ৩০ লাখ মানুষের জীবন নিয়েছিল। দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম নিয়েছিল। ওরা ইসলামের কথা বলে মানুষ জবাই করেছিল। আমরা কি এই জন্য মাঠে নামবো, না এই জন্য মাঠে নামবো না। নামবো স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির জানান দিতে।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি অনেক লাফালাফি করছে। কেউ বলছে, সাত দিনের মধ্যে সরকার পতন করে ফেলবে। কেউ বলছে এক মাসের মধ্যে করবে। কারা সরকার পতন করবে আর করবে না, এটা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ফয়সালা। তবে আমি বলি, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাই হবেন সরকার প্রধান। আমরা যারা ৭৫ এর পরে রাজনীতিতে এসেছি তারা শেখ হাসিনাকে মায়ের দৃষ্টিতে দেখি। ওরা আমাদের মাকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করবে, এটাতো আমরা মেনে নিব না। এমন কর্মকাণ্ড আমরা মেনে নিতে পারি না।
শামীম ওসমান বলেন, বিএনপি বলে পুলিশ নিয়ে চলি। আমি পুলিশের কাছে অনুরোধ করছি আপনাদের যত পুলিশ আছে, সব তাদের পক্ষে যান। সব নিয়ে ঘোষণা করেন পুলিশ আমাদের পক্ষে আছে, তারপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ছাড়া করে দিব। আপনাদের স্মরণ থাকার কথা, আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন আপনাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মতিন চৌধুরী। নারায়ণগঞ্জে এসেছিলেন, আটকে দিয়েছিলাম। অনুমতি চেয়ে বলেছিলেন, আমি যাই। অনুমতি দেওয়ার পর চলে গিয়েছিলেন। আমাদের পুলিশ বাহিনী লাগে না।
অক্টোবরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণা হলে আমিও সমান, তুমিও সমান। তখন খেলবো। দেখা যাবে কতটুকু জোড় কার? আসলে খেলার আগে রিহার্সেল লাগে। আমাদের অনেক নেতাকর্মীর শরীরে চর্বি জমে গেছে। আমি বিশ্বাস করি আমার সাথে যারা আছেন তারা ফিট আছেন।
সমাবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, সেদিন নারায়ণগঞ্জের মানুষ দেখিয়ে দেবো নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি ছিল, আছে এবং থাকবে। আপনারা ১৬ তারিখ দেখিয়ে দেবেন, আমরা এমন আওয়াজ তুলব, যা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। সেদিন আমি মন্ত্রীকে দাওয়াত করব আশা করি কোনো ব্যস্ততা না থাকলে উনি উপস্থিত থাকবেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, সাফায়েত আলম সানী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান প্রমুখ।
আরএআর