মাদক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন, দুজনের ১০ বছরের জেল
জয়পুরহাটে মাদকের পৃথক দুটি মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন ও দুইজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম ও আব্বাস উদ্দিন এসব রায় দেন।
জয়পুরহাট জজকোর্টের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) উদয় সিংহ বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রব্বুল মণ্ডল, রিপন মিয়া ও মাহাবুল। রব্বুল মণ্ডল পাঁচবিবি উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের মৃত বাবর মণ্ডলের ছেলে, রিপন মিয়া একই এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে ও মাহাবুল ওই এলাকার ফজলুলের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় মাহাবুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রব্বুল মণ্ডল ও রিপন মিয়া উপস্থিত না থাকায় তাদেরকে পলাতক দেখিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া ১০ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হারুনুর রশিদ ওরফে হারুন মিয়া ও হায়দার আলী। হারুনুর রশিদ পাঁচবিবি উপজেলার উত্তর কৃষ্ণপুর গ্রামের আফতাব উদ্দিনের ছেলে ও হায়দার আলী উত্তর গোপালপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় দুজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
আদালত ও মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল সংবাদ পেয়ে পাঁচবিবি উপজেলার উত্তর গোপালপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রব্বুল ও রিপনের কাছ থেকে এক হাজার ৪৫০ পিস নেশাজাতীয় ইনজেকশন ও ৭০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারসহ তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় মাহাবুল পালিয়ে গেলেও পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় পাঁচবিবি থানায় মামলা হয়। মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম মামলার তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। এছাড়া একই মামলায় আরেকটি ধারায় তিনজনকেই ১০ বছরের কারাদণ্ড, অনাদায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে ২০২১ সালের ৬ জুন বিকেলে পাঁচবিবি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ছোট যমুনা নদীর পাশ থেকে বস্তায় করে ফেনসিডিল নিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ১৮৪ বোতল ফেনসিডিলসহ হারুনুর রশিদ ও ৯৭ বোতল ফেনসিডিলসহ হায়দার আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় আজ জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দিন দুইজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
চম্পক কুমার/এমজেইউ