ভোলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এবিএম সামসুল হুদা (৭৫) নামে মাধ্যমিক স্কুলের সাবেক এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে ভোলা জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

সামসুল হুদা সদর উপজেলার মুসলমান পাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং শহরের মাসুমা খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিতের সাবেক শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি হুদা স্যার নামে সুপরিচিত ছিলেন। এ নিয়ে জেলায়  করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।  

আইসোলেশন ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জয়ন্ত সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে করোনা আক্রান্ত সামসুল হুদা প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ভোলায় ৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৩২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ২৮ জন ভোলা সদর, ২ জন লালমোহন ও ২ জন তজুমদ্দিন উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ভোলার সিভিল সার্জন দফতর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ভোলায় করোনা আক্রান্ত ১ হাজার ২৫৫ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭ জন। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় আক্রান্ত ৭৯৭ জনের মধ্যে সুস্থ ৬১৯ জন, দৌলতখানে ৬২ জনের মধ্যে সুস্থ ৫৬ জন, বোরহানউদ্দিনে ১৩০ জনের মধ্যে সুস্থ ১১৩ জন, তজুমদ্দিনে ৫৪ জনের মধ্যে সুস্থ ৪৮ জন, লালমোহনে ১০৮ জনের মধ্যে সুস্থ ৭৩ জন, চরফ্যাশনে ৭১ জনের মধ্যে সুস্থ ৬৬ জন এবং মনপুরায় ৩৩ জনের মধ্যে সুস্থ ৩২ জন। 

আক্রান্তরা নিজ নিজ উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আইসোলেশনে রয়েছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার আরও তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সবমিলিয়ে বর্তমানে হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৫ জন ভর্তি আছে।

এ ছাড়াও করোনা আক্রান্ত হয়ে ভোলা সদর, দৌলতখান, লালমোহন ও চরফ্যাশনে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভোলা থেকে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৮২৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি