মামুনুল ইস্যু: নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদলি
টিএম মোশাররফ হোসেন
নারায়ণগঞ্জে মামুনুল হক ইস্যুতে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের পর এবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টিএম মোশাররফ হোসেনকে বদলি করা হয়েছে। যদিও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এ বদলিকে রুটিন বদলি বলে দাবি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, হেফাজত নেতা মামুনুল ইস্যুতে নয়, রুটিন মোতাবেক টিএম মোশাররফ হোসেনকে সোমবার (৫ এপ্রিল) রাতে খুলনা পুলিশ রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তবে জেলা পুলিশে গুঞ্জন উঠেছে, মামুনুল হকের ঘটনাতেই বদলি হয়েছেন মোশাররফ। গত শনিবার রিসোর্টে অবরুদ্ধ করার পর পুলিশ মামুনুলকে হেফাজতে নেয়। তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন মোশাররফ হোসেন। দুদিন আগে এই ঘটনায় বদলি করা হয় সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৩ এপ্রিল) হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক এক নারীকে নিয়ে সোনারগাঁয় ‘রয়েল রিসোর্ট’ নামে একটি অবকাশ কেন্দ্রে যান। ‘পরনারীকে নিয়ে উঠেছেন’- এমন সন্দেহে সেখানে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয়রা। পরে হেফাজতকর্মীরা গিয়ে মামুনুল হককে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
বিজ্ঞাপন
এরপর হেফাজতের নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করে। মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে শতাধিক যানবাহন। একই সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়েও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে তারা। এক পর্যায়ে পুলিশ গিয়ে তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রোববার (৪ এপ্রিল) যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতার নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় হেফাজতে ইসলাম। হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের ১০ নম্বর অঞ্চলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি ফয়সাল মাহমুদ বাদী হয়ে এই অভিযোগ করেন।
এ সময় হেফাজতের নেতারা থানার ভেতরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। এক পর্যায়ে তারা ৭১ টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি বুলবুল আহমেদের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। তারা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে থানার ভেতর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে যান। এ ঘটনার পর রোববার (৪ এপ্রিল) রাতে ওসি রফিকুল ইসলামকে বদলি করা হয়।
এসপি/জেএস