অরুন কুমার

দীর্ঘ ২৮ বছর নখ কাটেন না তিনি। মূলত শখের বসে কাজটি করেছেন। নখের প্রতি অনন্য ভালোবাসার কাজটি করেছেন অরুন কুমার সরকার (৩৬) নামে এক যুবক। তার দাবি, নিছক ভালো নাগার কারণেই এমনটি করা। অরুন কুমার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের স্কুলশিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে। 

অরুন জানান, ২৮ বছর আগের কথা। ১৯৯৩ সালে আমি তখন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। বয়স মাত্র ৮ বছর। সে সময় কয়েক সপ্তাহ নখ না কাটায় শিক্ষক নখ কাটার কথা বলেন। তখন হাতের নখ না কেটে রেখে দেন। আর এভাবেই ধীরে ধীরে নখ বড় হতে থাকে। 

নখ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতি এক ধরনের ভালোবাসা জন্মায়। এরপর থেকে আর নখ কাটেননি। লোকমুখে শুনে অরুনের এই নখ এক নজর দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই তার দোকানে আসেন।

অরুন কুমার সরকার বলেন, হঠাৎ করেই শখের বসে হাতে নখ রাখা। তেমন কোনো সমস্যা হয় না। নখগুলোর প্রতি অনেক ভালোবাসা জন্মেছে। সে কারণে নখগুলো আর কখনো কাটব না। 

যদি কোনো কারণে নখের কোনো অংশ একটু ভেঙে যায়, তাতে খুব কষ্ট পান অরুন। তিনি জানান, হাতের নখগুলো এখন তার কোনো কাজের অসুবিধা করে না।

তিনি আরও জানান, প্রথম প্রথম বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজন নখ রাখার ব্যাপারে বাধা দিলেও পরে তারাও তা মেনে নেন। তিনি বিয়ে করেছেন। তার ঘরে কান্না নামে একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। মেয়ের নামের সঙ্গে মিল রেখে উপজেলার লক্ষ্মীপুর বাজারে কান্না ডিজিটাল ফটোস্টুডিও তৈরি করেছেন। স্টুডিওর পাশাপাশি ফ্লেক্সিলোডের দোকান রয়েছে অরুন কুমারের। এই দোকান থেকে তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন।

ওই বাজারের স্থানীয় বাসিন্দা শ্রী অমলেশ কুমার জানান, অরুন কুমারের নখের প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন এটি এখন বিরল। তার নখ দেখতে মানুষ ভিড় করেন। অরুন বিশ্বের বুকে নাম তোলার মতো কাজ করেছেন।

এসপি