আটক যুবক

নরসিংদীতে ইউনুস আলী (২৪) নামে এক যুবকের ছুরিকাঘাতে দুইজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের সগিরাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সগিরাপাড়া গ্রামের মৃত দেওয়ান আলীর ছেলে আলী আকবর (৬০) এবং ফজল মিয়ার ছেলে ফরহাদ মিয়া (৫০)। আহত ব্যক্তি হলেন ওই এলাকায় কাজ করতে আসা শ্রমিক সেন্টু মিয়া (৪৫)। ছুরিকাঘাতকারী ইউনুস আলী একই গ্রামের আ. মান্নানের ছেলে। তাকে আটক করেছে পুলিশ।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করেই ইউনুস তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে বিরূপ আচরণ শুরু করে। ধারণা করা হচ্ছে, সে রাতে নেশাগ্রস্ত ছিল। বুধবার সকালে ছুরি নিয়ে বের হয় ইউনুস। এ সময় যাকে সামনে পায় তাকেই ধাওয়া করতে থাকে সে।

এ সময় গ্রামের ফসলি জমিতে কাজ করছিলেন দুই কৃষক ফরহাদ মিয়া ও আলী আকবর। দুজনকেই আলাদা আলাদা জায়গায় কুপিয়ে আহত করে ইউনুস। কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলেই আকবর মারা যান। ফরহাদকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই সময়ে সেন্টু নামে আরেকজন ইউনুসের ছুরিকাঘাতে আহত হন। তাকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী ঢাকা মেডিকেলে পাঠান।  

তাজুল ইসলাম নামে এক এলাকাবাসী জানায়, হঠাৎ এমন আচরণ কেন করল তা বুঝতে পারছি না। তাছাড়া গতকাল রাতেও সে তার মায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। শুনেছি গতকাল নাকি সে নেশাও করেছে।

আবদুল মতিন নামে নিহত ফরহাদ মিয়ার এক স্বজন বলেন, সে নেশা করত। গতকাল রাতেও সে তার মাকে জবাই করতে গিয়েছিল। এভাবে কেউ কাউকে মেরে ফেলতে পারে? আমরা এর বিচার চাই।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নজরপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইউনুস মিয়া একা তাদের কুপিয়েছে। পরে ইউনুসকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পিটুনি দেন এবং দড়ি দিয়ে বেঁধে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে ইউনুস মিয়া পুলিশ পাহাড়ায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নরসিংদী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার দত্ত জানান, ঘাতক ইউনুসকে আটক করা হয়েছে। সে মানসিক ভারসাম্যহীন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর পুলিশ সদস্যরা সেখানে গেছেন। একটি মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে সুরতহালের অপেক্ষায় আছে। আরেকটি মরদেহ মর্গে আনার প্রস্তুতি চলছে।

রাকিবুল ইসলাম/এসপি/জেএস