গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষ্যে পাঠদান বন্ধ রেখে নেতাকর্মীদের সঙ্গে র‍্যালিতে অংশ নেয়  স্কুলের ছাত্রীরা

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে থানা রোডে উপজেলার আমিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় ক্লাস বাদ দিয়ে র‍্যালিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক অভিভাবক। 

র‍্যালিতে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী নাম গোপন রেখে প্রতিবেদককে বলে, আমরা বাধ্য হয়ে অংশগ্রহণ করেছি। আমাদের দুপুরের খাবার দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু দেয়নি। অন্যদিকে কেন বা কিসের জন্য তাদের সড়কে এনে শোডাউন দেওয়া হয়েছে তাও জানে না একাধিক শিক্ষার্থী।

এ নিয়ে কথা হয় এক অভিভাবকের সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, আমরা বাচ্চাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাই পড়ালেখার জন্য। তাদের দিয়ে দলীয় অনুষ্ঠানে র‍্যালি করানোটা অন্যায়। এটা কোনোভাবে মেনে নিতে পারছি না। তাছাড়া সেখানে যদি প্রতিপক্ষ কোনো অঘটন ঘটাতো, তাহলে আমাদের শিশুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নিত। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। 

উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহ সুলতান সরকার সুজন মোবাইল ফোনে বলেন, স্কুলের ছাত্রীদের নিয়ে আসা হয়েছিল অতিথিদের ফুল দেওয়ার জন্য। এ সময় তারা র‍্যালিতে অংশ নেয়। এ কথা বলেই তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। 

আরও পড়ুন : শ্রেণিকক্ষের টেবিলে লবণ-হলুদ-মরিচ, দপ্তরি হলেন বাবুর্চি

আমিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান আকন্দ বলেন, সব শিক্ষার্থীর মুখে মাস্ক পরা ছিল। তাই তাদের চিনতে পারিনি। আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিনা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মমিন মন্ডল বলেন, ক্লাস বাদ দিয়ে দলীয় অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক পার্যায়ের শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দুঃখজনক। কাজটা ঠিক হয়নি। পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। 

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য (অতিরিক্ত মহাসচিব, রংপুর বিভাগ) উপজেলা আহ্বায়ক ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

রিপন আকন্দ/আরকে