হেফাজতের হামলা ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শনে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল

ধর্মের নামে বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত সারাদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। এখন থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সরকারের পাশে থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে দমন করবেন। বুধবার (৭ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত আওয়ামী লীগ অফিস, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘর পরিদর্শন শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, আঘাত এসেছে, সময় হয়েছে প্রতিঘাত করার, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ধর্মের নামে হেফাজত অধর্মের কাজ করছে, রিসোর্টে নারী নিয়ে ধরা পড়েছে হেফাজতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক। তাকে রিসোর্ট থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীরা যেভাবে আওয়ামী লীগ অফিস, আওয়ামী লীগ যুবলীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে আমি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাই।

তিনি ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের মামলা করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, হেফাজত-বিএনপি-জামায়াতের যেসব সন্ত্রাসী এ কাজ করেছে নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে আসামি করুন।

তিনি বলেন, যারা ধর্মের নামে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করব। এরা ধর্মের নাম করে অধর্মের কাজ করছে। এসব ব্যবসায়ীদের হাত থেকে ধর্মকে রক্ষা করতে হবে। এই ধর্ম ব্যবসার দোহাই দিয়ে যারা ভাঙচুর করেছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

পরে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হেফাজতের হামলা ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের মোগড়াপারা চৌরাস্তা প্রধান কার্যালয়, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি, তার শ্বশুরবাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনির বাড়ি পরিদর্শন করেন। 

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস এমপি,  সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সামসুল ইসলাম ভূইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতারা।

উল্লে­খ্য, গত শনিবার (৩ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীকে নিয়ে উঠেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন রিসোর্টে নারীসহ মামুনুল হককে অবরূদ্ধ করে রাখে। মামুনুল হক দাবি করেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। 

এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ করেন। হেফাজতের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে রিসোর্টে ভাঙচুর করে হেফাজত নেতাকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে হেফাজতের নেতাকর্মীরা চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত আওয়ামী লীগের কার্য়ালয়, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর চালায়। 

রাজু আহমেদ/এসপি