তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৯১ -তে হালাল থাকলে এখন হারাম কেন: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ১৯৯১ সালে বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের অধীনে একটি নির্বাচন হয়েছিল সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছিল। তাহলে আজকের আওয়ামী লীগ সরকার কীভাবে সংবিধানে না থাকা সত্ত্বেও সেই সময় একানব্বই সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। তখন যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা হালাল হয়ে থাকে আজকে ২০২৩ সালে কেন হারাম হয়ে গেল।
ময়মনসিংহ টু কিশোরগঞ্জে বিএনপির রোড মার্চের সমাপনী সমাবেশে রোববার (১ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
মঈন খান বলেন, এই সরকারকে জনগণের শক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে তারা যে কাজটি করছে সেটি অন্যায়। তারা আজকে বিরোধী দলের ওপর জুলুম করছে। মামলা হামলা দিচ্ছে অত্যাচার করছে। গুম করছে, খুন করছে। এটা চলতে দেওয়া যেতে পারে না। কোনো সরকারের অধিকার নেই দেশের নাগরিকের ওপর জুলুম করা। যদি করে সেটা অন্যায় তার প্রতিকার করতে হবে। প্রতিকার করতে হবে কিভাবে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের যে মৌলিক ভোটের অধিকার তা প্রয়োগ করে আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। এটা শুধু বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ বলছে না। পৃথিবীতে যে সমস্ত দেশ গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমেরিকা, যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা নিউজিল্যান্ড তারা ইতিমধ্যে তাদের মতামত প্রকাশ করে বলেছে বাংলাদেশে আগামীতে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে। ২০১৪ এর মতো একদলীয় নির্বাচন। ২০১৮ সালের মতো দিনের ভোট রাতে এমন নির্বাচন আর এদেশে করা যাবে না।
বিজ্ঞাপন
তিন আরও বলেন, রাষ্ট্রের কাছে মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকার রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো স্বাস্থ্য। সংবিধানের সেই অধিকার বলে বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার নিশ্চিত সরকারকেই করতে হবে। অন্যথায় সরকারকে এর জবাব দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
এ ছাড়াও ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতানা সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, লায়লা বেগম, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ আরও অনেকে।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।
মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/এমএ