পাচারের সময় নদীতে ডুবে মৃত্যু, ৯ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা থেকে ভারতে স্বর্ণ পাচারের সময় মাথাভাঙ্গা নদীতে ডুবে মিরাজ হোসেন (২২) নামে এক চোরাকারবারির মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার আরেক সহযোগী পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করে তার শরীরে তল্লাশি চালিয়ে ৬৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে।
নিহত মিরাজ হোসেন চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক (কুষ্টিয়া সেক্টর, যশোর রিজিওন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, চুয়াডাঙ্গার বারাদী সীমান্ত দিয়ে দুজন ব্যক্তি ভারতে স্বর্ণ পাচার করবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) অধীনস্থ বারাদী বিওপির কমান্ডার নায়েব সুবেদার জাকির হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সীমান্ত পিলার ৮০/১-আর পাশ দিয়ে মাথাভাঙ্গা নদী পার হয়ে ভারতে যাওয়ার সময় পানিতে ডুবে চোরাকারবারি মিরাজ ডুবে যান এবং অপর চোরাকারবারি নদী থেকে উঠে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
পরে স্থানীয়দের চেষ্টায় ডুবে যাওয়া চোরাকারবারিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে তার শরীরে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম (৮৭৯.৮৮ ভরি) ওজনের ছোট বড় ৬৮টি স্বর্ণের বার জব্দ করে বিজিবির টহল দল।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক (কুষ্টিয়া সেক্টর, যশোর রিজিওন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহত যুবক স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম সম্পন্ন শেষে মৃতের পরিবারের নিকট হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলোর বাজারমূল্য ৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। সেগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।
আফজালুল হক/এসকেডি