আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুর রহমান বেলায়েত

নোয়াখালী-১০ (চাটখিল) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুর রহমান বেলায়েত আর নেই। সোমবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

নিহতের ছেলে নাফিজ মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সকাল ১০টার দিকে বাবা স্ট্রোক করেন। আমরা দ্রুত তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে নিয়ে যাই। এরপর সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মাহমুদুর রহমান নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি ছিলেন মুজিব বাহিনীর প্রধান। তিনি ১ জুলাই ১৯৪৫ সালে নোয়াখালী সদরের গুপ্তাংক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নোয়াখালী-১০ (চাটখিল উপজেলা) সংসদীয় আসনে ২ বার (১৯৭৩ এবং ১৯৮৬) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুমিনুল ইসলাম বাকের ঢাকা পোস্টকে বলেন, চাটখিলের ৯ উপজেলা ও পৌরসভা নিয়ে তখন সংসদীয় আসন ছিল। আমরা তখন বেলায়েত ভাইয়ের ভোট করেছি। তিনি ১৯৭৩ এবং ১৯৮৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নোয়াখালী জেলায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেকে তিনি ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ছিলেন নোয়াখালী জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান। চৌমুহনী এসএ কলেজের সাবেক ভিপি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আজ রাত ৮টায় চাটখিলে উনার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকালে নোয়াখালী শহরে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মাইজদীর উনার বাবার কবরের পাশে উনাকে দাফন করা হবে।

এদিকে মাহমুদুর রহমান বেলায়েতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান 

হাসিব আল আমিন/এএএ