ইনসেটে শহিদুল ইসলাম

প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘ ১০ বছর। এ সময়ে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেছেন। বর্তমানে গত তিন দিন ধরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন প্রেমিকা। এ ঘটনায় মাদারীপুরের শিবচরের শিরুয়াইল ইউনিয়নের শোলাপুর গ্রামে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

তরুণীর অভিযোগ, ২০১৩ সালে ইজিবাইকে কলেজে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় ইজিবাইকের অপর যাত্রী শোলাপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ খানের ছেলে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয়। এ সময় তার মোবাইল নম্বর নেন শহিদুল। একপর্যায়ে দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেন তারা। বিষয়টি দুই পরিবারের মাঝে জানাজানি হয়। পরে ২০১৮ সালে তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিদেশ যান শহিদুল। সম্প্রতি দেশে ফিরে ঢাকায় প্রথমে দুজনের মধ্যে দেখা হয়। পরে তারা নিজ নিজ গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। সপ্তাহখানেক আগে শহিদুলের বিয়ে ঠিক হওয়ার খবর এলাকায় প্রকাশ পায়। এই খবরে বিয়ের দাবিতে তিন দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন ওই তরুণী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই বিষয়ে এলাকাবাসী মুখ খুলতে নারাজ। বিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এদিকে প্রেমিকা বাড়িতে অনশনের খবরে শহিদুল তার রুমে তালা মেরে গা ঢাকা দিয়েছেন।

ওই তরুণী বলেন, ১০ বছর ধরে আমাকে যা যা করতে বলেছে, আমি ভালাবাসার জন্য সব করেছি। এখন শহিদুল বলে বেড়ায় আমি খাটো তাই বিয়ে করবে না। আমি শুধু চাই শহিদুল আমাকে বিয়ে করবে। আমাকে বিয়ে না করলে আইনগতভাবে সবখানে যাব। আমার ভালোবাসাকে জয়ী করেই ছাড়ব।

মেয়েটির মামা বলেন, গরিব পরিবারের মেয়ে হওয়ায় ওর (তরুণীর) কথা কেউ মানতে চায় না। আমরা সামাজিকভাবে প্রথমে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কিন্তু শহিদুলের পরিবার তাতে রাজি না। আমরা চাই দুজনের বিয়ে হোক, তারা শান্তিতে থাকুক।

শহিদুলের বড় বোন বলেন, মেয়েটি খাটো হওয়ায় শহিদুল বিয়ে করতে চাচ্ছে না। তারা দুইজন সংসার করবে। তাই সিদ্ধান্ত তাদেরই।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মাসুদ আলম খান বলেন, ছেলের সঙ্গে ১০ বছরের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছে মেয়েটি। মেয়েটি যাতে ন্যায়বিচার পায়, এজন্য শিবচর থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রাকিব হাসান/এমজেইউ