যশোরে আগাম চাষ করা শীতকালীন সবজি আরও এক মাস আগে থেকেই বাজারে উঠেছে। কিন্তু আগাম শীতকালীন সবজির মধ্যে টমেটো এবং গাজরের দামে যেন আগুন লেগেছে। তাই দাম শুনে অনেক ক্রেতাই মুখ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছেন। 

রোববার (২২ অক্টোবর) সকালে যশোর শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড কাঁচাবাজার ও বড়বাজার ঘুরে দেখা যায়, টমেটো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়, গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়। ফলে ২৫০ গ্রাম টমেটো বা গাজর কিনতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বল্প আয়ের ক্রেতাদের। 

এছাড়া কাঁচাবাজারগুলোতে বেগুন প্রতি কেজি ১০০ টাকা, মূলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কুমড়া প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাচাঁমরিচ প্রতি কেজি ২০০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেয়াজ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, দেশী পেয়াজ প্রতি কেজি ১২০ টাকা, ফুলকপি প্রতি কেজি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

রোববার সকালে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসেন কাজীপাড়ার রিকশাচলাক ওবায়দুল্লাহ। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, তরকারিতে খাওয়ার জন্য টমেটো কিনতে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি টমেটোতো আগুন লেগেছে। এক কেজি টমেটো কিনতে এসে ২৫০ গ্রাম কিনলাম। মাত্র ৪টি টমেটো হয়েছে।

আজহারুল ইসলাম নামে এক ছাত্র বলেন, মেসের জন্য বাজার করতে এসেছি। সালাদের জন্য গাজর কিনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু গাজারের কেজি ১৮০ টাকা। তাই আর কেনা সম্ভব হয়নি।'

শহরের বড়বাজারে মেসের বাজার করতে আসেন হুমায়রা খাতুন নামে এক কলেজছাত্রী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেসের বাজার করতে আসতে ভয় করে। বাজারে সবজির যে দাম, তাতে আমাদের পুরো মাসের খাবার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়।

চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা আগাম শীতকালীন সবজি যে দামে কিনছি তার থেকে ৫-৭ টাকা লাভ করে বিক্রি করছি।

বড়বাজারের কাচামালের দোকানদার শামীম শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা কমে কিনতে পারলে তো আমরা কমে বিক্রি করতে পারব। আগাম সবজি বলে দাম বেশি হতে পারে। পর্যায়ক্রমে শীতকালীন সবজি বাজারে উঠলে দাম কমে যাবে।

এ্যান্টনি দাস অপু/আরকে