নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরায় চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলায় পৃথক অভিযানে ৫৪ জেলেকে আটক করা হয়েছে। রোববার (২২ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ রোববার দুপুর ১টা পর্যন্ত চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৭ জেলেকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ২০ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং ৭ জেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ১ লাখ ৩৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে। এ সময় ৫০ কেজি ইলিশ ও ছয়টি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়। পরে ইলিশগুলো এতিমখানা, গরিব ও দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। 

এদিকে হাইমচর উপজেলা সিনিয়র সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ বলেন, রোববার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা টাস্কফোর্স মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ২৭ জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় তিনটি মাছ ধরার নৌকা ও ৬০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ৫০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাছগুলো স্থানীয় চারটি এতিমখানা ও গরিব-অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে এবং কারেন্ট জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। নৌকা ও জেলেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

উল্লেখ্য, মা ইলিশ সংরক্ষণে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ। আইন অমান্য করে কোনো জেলে মাছ শিকার করলে তার বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

আনোয়ারুল হক/এমজেইউ