কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত ৮ বছরের শিশু রবিউলের পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে।  শিশুটিকে দুর্ঘটনার পর সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে ভর্তি করা হয়। 

প্রথম আলো বন্ধুসভার ভৈরবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদরাতুল রশিদ পিয়াল জানান, ঢাকায় কর্মরত এক পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে রবিউলের পরিবারের সন্ধান জানতে পারি আমরা। রবিউলের বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি আজ রাত ১১টার দিকে ভৈরব এসে পৌঁছাবেন। 

ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনার পরই শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সময় শিশুটি অজ্ঞান অবস্থায় ছিল। জ্ঞান ফেরার পর সে তার ঠিকানা বলতে পারছিল না। জিজ্ঞেস করলে একেক সময় একেক স্থানের নাম বলতো। রবিউলের বাবা মিলন মিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি রাতের মধ্যেই ভৈরব আসবেন। তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। তিনি ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বরে থাকেন। সেখানে একটি রেস্টুরেন্টে বাবুর্চি হিসেবে কর্মরত। রবিউলের সঙ্গে তার বাবা মিলন মিয়ার ভিডিও কলে কথা হয়েছে এবং তিনি নিশ্চিত করেছেন রবিউল তার সন্তান। তারপরও তিনি আসার পর আমরা যাচাই-বাছাই করে আগামীকাল সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবো।

এর আগে আহত শিশু রবিউলের সন্ধান চেয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ তার ফেসবুকে নিজের মোবাইল নম্বর ও শিশুটির ছবি দিয়ে তার অভিভাবকদেরকে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

গত সোমবার (২৩ অক্টোবর)  বিকেলে ভৈরবের জগন্নাথপুর এলাকায় ঢাকাগামী আন্তনগর এগারসিন্দুর (গোধুলী) ট্রেনের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা কন্টেইনারবাহী একটি ট্রেনের সংঘর্ষে ১৮ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন। দুর্ঘটনায় এগারসিন্দুর ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/আরএআর