শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ১৩ বছর ধরে নৌকায় বসবাস করা সেই মা-ছেলের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। শনিবার (১০ এপ্রিল) জয়ন্তী নদীর পাড়ের ধানহাটায় তাদের সঙ্গে দেখা করে একটি সরকারি ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মর্তুজা আল মুঈদ।  

এর আগে শুক্রবার (০৯ এপ্রিল) ‘১৩ বছর নৌকায় বসবাস মা-ছেলের’ শিরোনামে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাপোস্ট.কমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নজরে আসলে তিনি নুরু মিয়া ও তার বৃদ্ধ মা গোলাপীর পাশে দাঁড়ান। তাদেরকে সরকারি ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। 

জয়ন্তী নদীর পাড়ের ধানহাটায় তাদের সঙ্গে দেখা করেন ইউএনও

ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মর্তুজা আল মুঈদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা পোস্টের একটি সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি নুরু মিয়া তার বৃদ্ধা মা গোলাপীকে নিয়ে দীর্ঘদিন নদীতে নৌকায় থাকেন। নুরু মিয়ার জায়গা রয়েছে। বউয়ের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি তার মাকে নিয়ে নৌকায় ওঠেন। নুরু মিয়ার মায়ের বয়স হয়ে গেলেও তার বয়স্কভাতা হয়নি। এখন আমরা তার জন্য বয়স্কভাতার ব্যবস্থা করে দিব। পাশাপাশি মাকে নিয়ে থাকার জন্য নুরু মিয়াকে সরকারি একটা ঘর করে দেওয়া হবে। 

নুরু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, নদীতে মাকে নিয়ে অনেক দিন ধরে বসবাস করি। মায়ের সঙ্গে বউরের বনিবনা না হওয়ায় আমি মাকে নিয়ে ১৩ বছর ধরে নৌকায় থাকি। সরকারি ঘর পাবো জেনে আমি খুব খুশি। এখন মাকে নিয়ে সেখানে থাকতে পারবো। 

এ সময় পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ লিটন, ডামুড্যা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নান্নু মৃধাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর