বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রাক পুলিশ পাহারায় গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। 

বুধবার (০১ নভেম্বর) সকাল থেকেই সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে ১৩৯টি ট্রাক এবং জেলা থেকে চালের আরও ১৯টি ট্রাক একসঙ্গে ছেড়ে যায়। সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া পণ্যবাহী ট্রাকের মধ্যে ছিল পেঁয়াজ, মসলা, পাথরসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য। 

আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রাখতে ও যেকোনো সহিংসতা প্রতিরোধ করতেই পণ্যবাহী ট্রাকগুলো পাহারা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও সড়কে পণ্যবাহী ট্রাকের অবাধ চলাচলে মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এমনকি পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলের সময় অন্য যান চলাচল সীমিত করা হয়।

সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ বলেন, অবরোধে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই স্থলবন্দরে কোনোরকম প্রভাব পড়েনি। ভারত থেকে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকগুলো গন্তব্যস্থলে ছেড়ে যাচ্ছে। 

সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনুর রশীদ বলেন, আমদানি-রপ্তানি যেমন স্বাভাবিক রয়েছে, তেমনি ভারতীয় পণ্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যাচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক। সড়কে পণ্যবাহী ট্রাক যেতে যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয় তাই পুলিশ পাহারা দিয়ে ট্রাকগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ কারণে পণ্যবাহী ট্রাক পরিবহন আরও সহজ হয়েছে। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবুল কালাম সাহিদ জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দর ও বিভিন্ন রাইস মিল থেকে ছেড়ে যাওয়া পণ্যবাহী ট্রাকগুলোর নিরাপত্তা দেবে সড়কপথের বিভিন্ন থানা ও মেট্রোপলিটন পুলিশ। বিএনপি-জামায়াতের সকল সহিংসতা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির ডাকা অবরোধের কারণে পণ্যের আমদানি-রপ্তানিতে প্রভাব পড়লে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়তে পারে। তাই আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সারাদিনে যতগুলো ট্রাক যাবে, সবগুলোই পাহারা দিয়ে গন্তবে পৌঁছে দেবে পুলিশ।

এমএএস