লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন
এবার ভোটকেন্দ্রের খরচ নিয়ে আ.লীগ-ছাত্রলীগ নেতার মারামারি
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ব্যালট বইয়ে নৌকা মার্কায় অনবরত সিল মারার ঘটনার রেশ কাটেনি এখনো। এর মধ্যেই ভোটকেন্দ্রের খরচ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মোরশদ আলম সবুজ ও ছাত্রলীগ নেতা শাহীন আলমের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সবুজ বাদী হয়ে শাহীনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার বাদী সবুজ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। আর অভিযুক্ত শাহীন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বুধবার (৮ নভেম্বর) রাতে পৌর শহরের মিয়া রাস্তার মাথা এলাকায় আশুরা জেনারেল হাসপাতালে দুইজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন- শাহিনের ছোট ভাই আরজু, রাব্বি ও পাপন।
বিজ্ঞাপন
সবুজ ও শাহীনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপনির্বাচনে পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে খরচের জন্য দল থেকে ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়। ওই টাকা নিয়ে ৪ নভেম্বর রাত থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। শাহিন ওই টাকার হিসেবে চাইলে সবুজ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বুধবার রাতে আশুরা জেনারেল হাসপাতালে ডা. জাকির হোসেনের চেম্বারে সবুজ ও শাহিনের মধ্যে কথা কাটিকাটি হয়। একপর্যায়ে দুজনই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শী ডা. জাকিরসহ কয়েকজন তাদেরকে শান্ত করেন। পরে তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। খবর পেয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী তাদেরকে দেখতে হাসপাতাল যান।
ছাত্রলীগ নেতা শাহীন আলম জানান, কেন্দ্রে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার খুঁজে এনেছে। এতে দল থেকে দেওয়া টাকার হিসেব চাইলে সবুজ মামা আমার শার্টের কলার চেপে ধরে কিল-ঘুষি মারেন। তখন তাকে আমাকে ছাড়তে বলি। এরপরও তিনি শান্ত হননি। তার ছেলে শাওনকে ডেকে এনে দ্বিতীয় দফায় আমাকে মারধর করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ আলম সবুজ বলেন, দল থেকে কেন্দ্র খরচের জন্য ১ লাখ টাকা দিয়েছে। সেখান থেকে ছাত্রলীগের জন্য শাহিনকে ২৯ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপরও শাহিন টাকা দাবি করে। জাকির ডাক্তারের চেম্বারে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সে আমার গায়ে হাত তোলে। খবর পেয়ে আমার ছেলে শাওন ঘটনাস্থল আসে। পরে শাহিনসহ অভিযুক্তরা আমার ছেলেকেও মারধর করে।
বক্তব্য জানতে ডা. জাকির হোসেনকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, সবুজ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরএআর