কুমিল্লার লাকসামে মাদ্রাসায় বৈঠককালে উপজেলা জামায়াতের আমিরসহ ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের বাকই জামিয়াতুস সুন্নাহ তাহফীজুল কুরআন মাদ্রাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলা জামায়াত ইসলামের আমির শুকতলা গ্রামের মৃত সেরাজুল হকের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম (৫৮), কান্দিরপাড় ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামের আমির চেঙ্গাচাল গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে আবু হানিফ (২৭), কান্দিরপাড় ইউনিয়ন জামায়াতের সহ-সাধারণ সম্পাদক হামিরাবাগ গ্রামের মৃত আমিনুল ইসলামের ছেলে মো. ওমর ফারুক (৩২), কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামের সভাপতি সাতবাড়ীয়া গ্রামের মো. মোখলেছুর রহমানের ছেলে মো. আবুল হাশেম (৫২), জামায়াত ইসলামের কর্মী ও বাকড্ডা গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৩৮), কেমতলী নোয়াপাড়া গ্রামের আ. কাদেরের ছেলে নুরে আলম (৩০), একই গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে বেলাল হোসেন (৪০), রনচৌ গ্রামের মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে আব্দুল মমিন (৫৩), হামিরাবাগ গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে বজলুর রহমান (৭০), শালেহ পুর গ্রামের মৃত দরবেশ আলীর ছেলে আবু তাহের (৬৬)।

এদিকে জামায়াতের নেতাকর্মীদের আটকের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন লাকসাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ।

তিনি বলেন, বাকই গ্রামে জামিয়াতুস সুন্নাহ তাহফীজুল কুরআন মাদ্রাসায় ৪০/৫০ জন ব্যক্তি ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম সংগঠনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

এসময় আটককৃতদের কাছ থেকে জামায়াতের সদস্য প্রার্থী ফরম, ওয়ার্ড সংগঠনের রিপোর্ট ফরম, ছাত্রশিবিরের ষান্মাসিক রিপোর্ট নামীয় রেজিষ্টার এবং ১০৭টি বিভিন্ন সাইজের লাঠি জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে লাকসাম থানায় মামলা দায়েরের পর তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরিফ আজগর/টিএম