কাটাখালীর মেয়র আব্বাস আলী ও পুঠিয়ার নবনির্বাচিত মেয়র আল মামুন খান

আবারো রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান মেয়র আব্বাস আলী। নৌকা প্রতীকে দ্বিতীয়বারের মত মেয়র নির্বাচিত হলেন তিনি। অন্যদিকে জেলার পুঠিয়া পৌরসভায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবিকে হারিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী আল মামুন খান বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

পৌরসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজশাহীর এই দুই পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করা হয়। প্রথমবারের মত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেন পৌরবাসী। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৯টি করে দুই পৌরসভার ১৮ ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়।

জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, পুঠিয়া পৌরসভায় ধানের শীষের প্রার্থী আল মামুন ৫ হাজার ৯২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রবিউল ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ১৬০ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম আজম নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ১৭৪ ভোট।

পৌরসভায় মোট ভোটার ১৬ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১২ হাজার ২২৮ জন। ভোট বাতিল হয়েছে ৩৪ জনের।

অন্যদিকে পবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রামাণিক জানান, কাটাখালী পৌরসভায় বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আব্বাস আলী। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৬ হাজার ১৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক মাজিদুর রহমান জগ প্রতীকে পেয়েছেন ৮৫৬ ভোট। এছাড়াও ধানের শীষের প্রার্থী অধ্যাপক সিরাজুল হক ৭৩, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সামা নারিকেল গাছ প্রতীকে ৪৭ এবং মোবাইল প্রতীকে
খোকনুজ্জামান মাসুদ ৭২ ভোট পেয়েছেন। এই পৌরসভায় মোট ভোটার ভোটার ২২ হাজার ২৩৯ জন।

কাটাখালী পৌরসভায় ভোটের লড়াইয়ে নামেন কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯ জন। আর পুঠিয়া পৌরসভায় কাউন্সিলর পদে ২৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

আরএআর