যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট যাত্রীদের ভ্রমণ কর জালিয়াতির অভিযোগে শামীম হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছেন কাস্টমস অফিসাররা। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আটক করা হয়। 

শামীম হোসেন শার্শা উপজেলার সাদিপুর খেয়াঘাটপাড়া গ্রামের আব্দুল মমিন চৌধুরীর ছেলে। বেনাপোলে তার একটি নামসবর্স্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। 

জানা গেছে, শামীম প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টি ভ্রমণ কর জালিয়াতি করে সরকারের কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। এই কর ফাঁকি দিয়ে নিজের নামে ও পরিবারের নামে একাধিক বাড়ি, গাড়ি ও জমি কিনেছেন তিনি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ ও হুন্ডি ব্যবসার অভিযোগও রয়েছে।  

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, স্থানীয় একটি চক্র যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করে ভ্রমণ কর জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিল। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে স্থলবন্দরের অফিসাররা পাসপোর্ট চেকিং পয়েন্টে যাত্রীর ভ্রমণ কর চেকিংয়ের সময় ভ্রমণ কর জাল সন্দেহে হলে যাচাই করলে ভুয়া প্রমাণিত হয়। সে সময় পর পর ছয়জন পাসপোর্ট যাত্রী যথাক্রমে জুলু হোসেন, তাছলিমা খাতুন, সুইটি, নাজমা, রেক্সোনা ও নাছিমা ‘বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্ট’ নামক দোকানে ভ্রমণ কর দিয়েছেন বলে জানান। তাদের সঙ্গে থাকা প্রতিটি ভ্রমণ করের কাগজ জাল বলে প্রমাণিত হয়। এরপর অফিসাররা কর জালিয়াতির হোতা শামীমকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সত্যতা পাওয়ায় তাকে আটক রেখে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়। এছাড়া কর জালিয়াতির হোতা শামীমের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখবে।  

বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভুঁইয়া জানান, ভ্রমণ কর জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত শামীম নামে একজনকে স্থলবন্দর হতে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে। বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে ভ্রমণ কর জালিয়াতি চক্রের হোতা শামীমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা সে মতে মামলা রুজু করবো।

এ্যান্টনি দাস অপু/আরএআর