বগুড়ার ধুনটে সিয়াম বাবু (৪) নামে এক শিশুকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার সৎমায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সৎমা শারমিন খাতুনকে (১৮) আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে প্রাথমিক স্বীকারোক্তির পর তাকে আটক করা হয়। এর আগে বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের পীরহাটি গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

সিয়াম বাবু উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের পীরহাটি গ্রামের মনিরুল ইসলামে ছেলে। অভিযুক্ত শারমিন খাতুন উপজেলার একই এলাকার ছাতিয়ানী গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে।

পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানায়, প্রায় এক বছর আগে সিয়াম বাবুর মা পলি খাতুন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সন্তানের কথা চিন্তা করে প্রায় ৪ মাস আগে শারমিন খাতুনকে বিয়ে করেন সিয়ামের বাবা মনিরুল ইসলাম। বিয়ের পর থেকে সৎছেলেকে মেনে নিতে পারেননি শারমিন খাতুন। আজ দুপুরে সিয়ামকে একটি ঘরে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় তার বাবা। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সবাই জিজ্ঞাসাবাদ করলে সিয়ামকে মেরে ফেলার কথা স্বীকার করেন শারমিন। পরে পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দেয়।

নিহত সিয়ামের বাবা মনিরুল ইসলাম বলেন, শারমিন মাঝেমধ্যে সিয়ামকে নির্যাতন করতো। শনিবার দুপুরে খাবারের পর ছেলেকে পাশে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুম থেকে জেগে দেখি সিয়াম আমার পাশে নেই। পরে অন্যঘরে গিয়ে দেখি বিছানার উপর সিয়ামের মৃতদেহ পড়ে আছে। এ সময় শারমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় সিয়ামকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছে।

ধুনট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শারমিন তার সৎছেলে সিয়াম বাবুকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তবে কেন সিয়ামকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলছে না। আমরা তাকে আটক করেছি। আর শিশুটির মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আসাফ-উদ-দৌলা নিওন/আরএআর