টাঙ্গাইলে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। এ ঘটনায় প্রায় ৯ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগা‌যোগ বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৫টার দিকে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেল স্টেশনের কা‌ছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এদিকে দুর্ঘটনাস্থলের আগের প্রায় তিন কিলোমিটার রেললাইনের অনেক স্থানে রেল ক্রিপ পাওয়া যায়নি। এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

সরেজমিনে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রেললাইনের টাঙ্গাইল সদরের বেতর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, যেখানে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তার আগের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে রেল ক্রিপ দেখা যায়নি। পরে দুর্ঘটনার পর রেলওয়ের লোকজন একটি স্লিপারের দুটি থেকে একটা ক্লিপ খুলে নিয়ে যেখানে নেই সেখানে লাগান। দুর্ঘটনায় শুধু ট্রেনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। প্রায় দুই কিলোমিটার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

টাঙ্গাইলে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল প্রায় ৯ ঘণ্টা। ফলে বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। এর আগে ট্রেনটি সদর উপজেলার বেতর এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

রসুলপুর এলাকার অনেকেই জানান, রেললাইনের অনেক স্থানে রেল ক্লিপ নেই। আবার অনেক স্থানে লোহার ক্লিপের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে।

রেললাইনে কর্মরত শ্রমিকরা বলেন, রেললাইনের অনেক স্থানে লোহার ক্লিপ নেই। যেখানে দুটি রয়েছে সেখান থেকে একটি করে ক্লিপ নিয়ে গ্যাপ পূরণ করা হচ্ছে।

গাজীপুরের জয়‌দেবপুর জংশ‌নের উপসহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী ইয়াসাদ ব‌লেন, ট্রেন লাইনচ‌্যুত হওয়ার ঘটনায় বিভাগীয়ভা‌বে তিন সদস‌্য বি‌শিষ্ট ক‌মি‌টি গঠন করা হ‌য়ে‌ছে। রেল‌ ক্লিপের জন‌্য না‌কি অন‌্য কোনো কার‌ণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটা ওই ক‌মি‌টি তদন্ত ক‌রে বল‌তে পার‌বে।

অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর