এবার মশা মারতে খালে ব্যাঙ ছাড়ল মসিক
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় মাস খানেক ধরে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। মশক নিধনে প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিত লার্ভিসাইড ও এডাল্টিসাইড প্রয়োগ করা হলেও কিছুতেই যেন কমছে না মশার উৎপাত। তবে এ থেকে রেহাই পেতে এবার খালে ব্যাঙ ছেড়েছে মসিক।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর হরিকিশোর রায় রোডস্থ মাকরজানি খালে মশার লার্ভা ধ্বংসকারী দুই হাজার ব্যাঙ অবমুক্ত করার মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জৈবিকভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মসিক মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।
বিজ্ঞাপন
এ সময় মেয়র বলেন, মশক নিধনে নিয়মিত প্রতিটি ওয়ার্ডে লার্ভিসাইড ও এডাল্টিসাইড প্রয়োগ করা হচ্ছে।
কর্মসূচিকে আরও বেগবান করার জন্য জৈবিক পদ্ধতিতে মশক নিধনের বেশ কিছু কার্যক্রম গত বছর হাতে নেওয়া হয়েছিল। সে সময় উন্মুক্ত জলাশয়ে মশাখেকো মাছ অবমুক্ত করা হয়েছিল। মশক নিধনে জৈবিক প্রক্রিয়া ব্যবহারের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ রয়েছে। তাই এ বছরও আমরা জৈবিক প্রক্রিয়ায় মশক নিয়ন্ত্রণকে জোরদার করছি।
তিনি আরও বলেন, নগরে উন্মুক্ত জলাশয় কমে আসছে। এসব জলাশয়ে প্রাকৃতিকভাবে মশক নিধনের সুযোগ সীমাবদ্ধ হয়ে আসছে। তাই আমরা নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে মশার লার্ভাকে ধ্বংস করে এমন ব্যাঙ উন্মুক্ত করছি। যেসব জলাধারে কিছুটা গভীরতা পাওয়া যাবে সেখানে মশার লার্ভা খেকো মাছ ছাড়া হবে। এ ছাড়া যেসব জলাশয়ে হাঁস চাষের সুযোগ রয়েছে সেখানে মশক নিধনে হাঁস চাষেরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
মশক নিধন একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া উল্লেখ করে মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, সিটি করপোরেশন প্রত্যেক জলাধার, ড্রেন ইত্যাদি পরিষ্কারের ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে একই সঙ্গে প্রত্যেক নাগরিককেও তার আঙিনা পরিষ্কার আছে কি না তা খেয়াল রাখতে হবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। তবেই কার্যকর মশক নিধন সম্ভব।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র-১ মো. আসিফ হোসেন ডন, প্যানেল মেয়র-৩ শামীমা আক্তার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ মানস বিশ্বাস, খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উবায়দুল হক/এসপি