অর্পিতার আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় শাশুড়িসহ কারাগারে ৩
নোয়াখালীর চাটখিলে গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার মরিয়ম অর্পিতার (১৭) আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় শাশুড়ি রহিমা বেগমসহ (৪৫) তিন জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে তাদের জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে বিচারক নুরজাহান বেগম জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে পাঠানো আসামিরা হলেন– চাটখিল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহনেয়ামতপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের মেয়ে নিহত অর্পিতার শাশুড়ি রহিমা বেগম, ননদ ফারহানা আক্তার (২৮) ও ননদের জামাই মজিবুর রহমান ওরফে ফরিদ (৪০)।
বিজ্ঞাপন
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে অর্পিতার বাবা বেলাল হোসেন আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক আসামিদের গ্রেপ্তার করে। একইদিন ৯৯৯-এ কল পেয়ে উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের সিংবাহুড়া গ্রামের ইতালি প্রবাসী রবিউল ইসলাম রুবেলের স্ত্রী অর্পিতার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ফাতেমা মরিয়ম অর্পিতার সঙ্গে ইতালি প্রবাসী রবিউল ইসলাম রুবেলের বিয়ের আয়োজন করে পরিবার। অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ের অভিযোগে কনে ও বর পক্ষকে ৫০ হাজার করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে পারিবারিক সম্মতিতে গোপনে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর রুবেল ইতালি চলে যান। শাশুড়ির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মনোমালিন্য হলে অর্পিতা তার স্বামী রুবেলকে ও তার পরিবারকে বিষয়গুলো জানাতেন।
অর্পিতার বাবা বেলাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার মেয়ের শ্বশুর ফারুক আহমেদ ইতালি থাকেন। বুধবার (২২ নভেম্বর) রাতে অর্পিতার শাশুড়ি আমাকে জানায় আমার মেয়ে নাকি ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস নিয়েছে। তিনি পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আসলে ফাঁস দেওয়ার নাটক সাজিয়ে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (চাটখিল সার্কেল) নিত্যানন্দ দাস ঢাকা পোস্টকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয় এবং তাৎক্ষণিক আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে আসামিদের জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে বিচারক নুরজাহান বেগম তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
হাসিব আল আমিন/এসএসএইচ