কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ও সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির নামে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন কেনা নিয়ে সুনামগঞ্জে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সুনামগঞ্জ ৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসন থেকে এই মনোনয়ন কেনা হয়েছে। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দল পালটানোর ক্যাটাগরিতে গ্রিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখার দাবি জানিয়ে রম্যরসও করছেন। অনেকে আবার ডিগবাজি খেলোয়াড় হিসেবেও আখ্যায়িত করছেন। তবে সবকিছুই অস্বীকার করেছেন ওই প্রার্থী।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যার পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফজলে রাব্বি স্মরণের নাম-ছবিসহ মনোনয়ন পত্রের বিষয়টি আলোচনায় আসে। ফজলে রাব্বি স্মরণ সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক। তার মা শামসুন্নাহার বেগম সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ও বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। বাবা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক গোলাম রব্বানী।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ফজলে রাব্বি স্মরণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কে বা কাহারা তার নাম ছবি দিয়ে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পত্র তুলে জমা দিয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। 

মনোনয়ন পত্রের ৩০ হাজার টাকা কে জমা দিল, এই বিষয়েও তিনি বলেন, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে তার ইমেজ নষ্ট করতে এমন কাজ করে থাকতে পারে। যুবলীগে তার বর্তমান অবস্থান দেখে অনেকেই ঈর্ষান্বিত হয়ে এমন কাজ করেছে বলেও জানান তিনি।

তবে এ ব্যাপার সুনামগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও বিরোধীদলীয় হুইপ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, আজকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার ছিল। সুনামগঞ্জ-৪ আসন থেকে আমার নাম, ইনান চৌধুরী প্রিয়'র নাম ও ফজলে রাব্বি স্মরণের নাম ডাকা হয়। তখন তিনি স্মরণকে ফোন করে মনোনয়ন পত্রের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে স্মরণ জানায় কে বা কারা এই মনোনয়ন পত্র তুলেছে সে কিছুই জানে না।

সুনামগঞ্জের ৫টি নির্বাচনী আসনের মধ্যে সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পত্র তুলেছেন জাতীয় পার্টির দুইবারের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় হুইপ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, জাতীয় পার্টির সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত মেজর ইকবাল হোসেন চৌধুরীর ছেলে ইনান চৌধুরী প্রিয় ও সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ফজলে রাব্বি স্মরণ।

সোহানুর রহমান সোহান/এমএএস