আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনীর ৩টি আসনে নতুন ভোটার বেড়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ২৬৪ জন। তার মধ্যে তরুণ ভোটারের সংখ্যা ৬০ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ তরুণ ভোটার সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনীর ৩টি সংসদীয় আসনে ভোটার ছিল ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭১ জন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনীতে ভোটার বেড়ে হয়েছে ১২ লাখ ৩৬ হাজার ৯৩৫। যা গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। এবার জেলায় ৩৯৯টি ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। যা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছিল ৩৫৮টি।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সংসদীয় আসন ২৬৫, ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া-পরশুরাম-ফুলগাজী) আসনে ১১৫ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। গত সংসদ নির্বাচনে এ আসনে কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাগলনাইয়া উপজেলায় ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭০ জন ভোটারের ভোটগ্রহণের জন্য ৫৪টি কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। পরশুরামে ৮৮ হাজার ৩৪৮ জন ভোটারের জন্য উপজেলায় ২৯টি কেন্দ্রে চূড়ান্ত করা হয়েছে। ফুলগাজীতে ১ লাখ ৩ হাজার ৩৮ জন ভোটারের ভোটগ্রহণের জন্য ৩২টি কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে।

একই সূত্রে জানা গেছে, সংসদীয় আসন ২৬৬, ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসনে ৪ লাখ ৭ হাজার ৯৫৫ জন ভোটারের জন্য ১৪০টি কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। গত সংসদ নির্বাচনে এ আসনে কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১২৬টি।

জানা গেছে, সংসদীয় আসন ২৬, ফেনী-৩ (দাগনভূঞা-সোনাগাজী) আসনে ৪ লাখ ৭২ হাজার ৫২৪ জন ভোটারের জন্য ১৪৪টি কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। গত সংসদ নির্বাচনে এ আসনে কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১২৬টি। তারমধ্যে দাগনভূঞা উপজেলায় ২ লাখ ৩২ হাজার ৫৫৫ জন ভোটারের জন্য ৭২টি কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। একইভাবে সোনাগাজী উপজেলায় ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৬৯ জন ভোটারের জন্য ৭২টি কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে।

চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র প্রসঙ্গে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, খসড়া তালিকায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৪২৫টি। যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, কিছু কিছু প্রস্তাবিত কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা খুব কম ছিল। তাই যাচাই-বাছাই শেষে কম ভোটারসংখ্যক কেন্দ্রগুলোকে সমন্বয় করে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৩৯৯টি নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করে জেলা ভোটকেন্দ্র স্থাপন কমিটি। ৩১ আগস্ট খসড়া ভোটকেন্দ্রের ওপর দাবি বা আপত্তি গ্রহণ, ১১ সেপ্টেম্বর আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে ১৭ সেপ্টেম্বর (রোববার) ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।

তারেক চৌধুরী/আরকে