এইচএসসিতে রংপুরের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রত্যাশিত ফলাফল

এইচএসসি পরীক্ষায় রংপুরের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এবারও ভাল ফলাফল অর্জন করেছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশিরভাগের পাসের হার শতকরা ৯০ ভাগের ওপরে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের আন্তরিকতার সঙ্গে পাঠদান, শিক্ষার্থীদের সময়ানুবর্তিতা ও অধ্যবসায়ের কারণে এ ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।   

রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড় দেখা গেছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, রংপুর ক্যাডেট কলেজে এ বছর ৫২ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে ৫১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। শতকরা পাসের হার ৯৮ ভাগ। রংপুর সরকারি কলেজে ১ হাজার ১৮০ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ১ হাজার ১৩২ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২৪ জন। শতকরা পাসের হার শতকরা ৯৬ ভাগ।

কারমাইকেল কলেজের ৮৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭৫৬ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬৬ জন। পাসের হার শতকরা ৮৮ ভাগ। রংপুর সরকারি সিটি কলেজের ১৮৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৭৯ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন এবং পাসের হার শতকরা ৯৫ ভাগ। 

সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের ৮০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭৪১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৫ জন এবং পাসের হার শতকরা ৯৩ ভাগ। রংপুর ক্যান্টপাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯৫৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৯৫৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭০ জন এবং পাসের হার শতকরা ৯৯ ভাগ। 

মিলিনিয়াম স্টারস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৩৫ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৭ জন। পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭৭৬ পরীক্ষার মধ্যে ৭৭৪ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬০ জন। বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৭৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৬৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৪জন এবং পাসের হার শতকরা ৯৭ ভাগ।  

রংপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, কলেজের প্রত্যেক শিক্ষকবৃন্দ আন্তরিকতার সঙ্গে ক্লাসে পাঠদান করেন। আমাদের শিক্ষার্থীরাও মনোযোগ সহকারে ক্লাস করে। আমাদের প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা, শিক্ষকদের আন্তরিকতা, শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টার কারণে ভাল ফলাফল অর্জন ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। আমি অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানাই, তারা সার্বক্ষণিক শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বিষয়ে খোঁজ-খবর রেখেছেন।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এএএ