দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

এতে ফেনীর তিনটি আসনে থেকে নির্বাচনে লাঙ্গল নিয়ে লড়বেন বর্তমান সংসদ সদস্যসহ ৩ জন। দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তরা হলেন- ফেনী-১ আসনে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি শাহরিয়ার ইকবাল, ফেনী-২ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার নজরুল ইসলাম এবং ফেনী-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। 

ফেনী-৩ (দাগনভূঞা-সোনাগাজী) আসনে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে আসনটিতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালে এক-এগারোর পটপরিবর্তনের সময় বেশ আলোচিত সেনা কর্মকর্তা ছিলেন লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।

এদিকে ফেনী-২ (সদর) আসনে লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়া প্রকৌশলী খন্দকার নজরুল ইসলাম এ আসনে গত জাতীয় নির্বাচনেও দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। 

তবে ফেনী-১ (ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া) আসনে মনোনয়ন পাওয়া শাহরিয়ার ইকবালকে তৃণমূলে মাঠের রাজনীতিতে এর আগে তেমন দেখা যায়নি বলছেন স্থানীয়রা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে ফেনীর তিনটি আসন জাপার মোট ৮ প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। এদের মধ্যে ফেনী-১ আসন থেকে ৩ জন, ফেনী-২ আসনে ৩ জন এবং ফেনী-৩ আসন থেকে ২ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

এদিকে, ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৯টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জাপা। বাকি ১১টি আসনে প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানান পার্টির মহাসচিব চুন্নু।

এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে গত ২০ নভেম্বর থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে জাপা। ২৩ নভেম্বর ছিল ফরম বিক্রির শেষ দিন। পরে তা শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

তারেক চৌধুরী/জেডএস