নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজাপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক স্থান মুজিবনগরে ছিল শিক্ষাসফর। মনোবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক (প্রদর্শক) শামীম কবির সুইটও ছিলেন তাদের একজন।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় কলেজ চত্বর থেকে দুটি বাস রওনা হয় মুজিবনগরের উদ্দেশ্যে। এর আগে কলেজ চত্বরে রান্না করে গাড়িতে তোলাসহ সব কাজই সামলান শামীম কবির।

গাড়ি ছেড়ে মাত্র এক কিলোমিটার যাওয়ার পরেই অসুস্থতা বোধ করতে শুরু করেন শামীম। সহকর্মীদের গাড়ি থামাতে বললে মুলাডুলি রেলগেটের আগেই বাস থামানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে সহকর্মী মনির হোসেনের কোলে ঢলে পড়েন শামীম কবির। এ সময় সহকর্মীরা তাকে রাজাপুর বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিক্ষক শামীমের মৃত্যুর খবরে মুহূর্তেই আনন্দযাত্রায় বিষাদের ছায়া নেমে আসে। সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তৎক্ষণাৎ কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ তুগলক সফর বাতিল করে সবাইকে নিয়ে কলেজে ফিরে আসেন।

নিহত শামীম কবির সুইট বড়াইগ্রাম উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের মসলেম উদ্দিনের ছেলে। শামীমের ছোট ভাই ও খলিশাডাঙ্গা কলেজের প্রভাষক মাসুম বলেন, বাবা-মায়ের আমরা মাত্র দুটি সন্তান। এখন মাকে কেমন করে বোঝাব। বড় ভাই সকালে সফরে গিয়ে এভাবে লাশ হয়ে ফিরবে-এটা মানতেই পারছি না।

রাজাপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ তুগলক বলেন, শামীম কবির এই প্রতিষ্ঠানের শুরুর সময়ই যোগদান করেন। তিনি সকলের প্রিয়জন ছিলেন। সবার সঙ্গেই ছিল তার সদ্ভাব। তার এমন মৃত্যুতে আমরা একজন দক্ষ সহকর্মীকে হারালাম।

গোলাম রাব্বানী/এমজেইউ