কুমিল্লার মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে

লকডাউন বাস্তবায়নে কুমিল্লা নগরীর ১৩ স্থানে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড। জরুরি কাজে কেউ বের হলেও প্রশাসনের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। মুভমেন্ট পাস ছাড়া যানবাহন ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নিয়ম ভঙ্গের কারণে গুণতে হচ্ছে জরিমানা। বৃহস্পতিবার নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। 

ঢাকা থেকে নগরীর প্রবেশ পথ শাসনগাছার মূল সড়কে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। রয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সদস্যরা। একই চিত্র পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড, টমচমব্রিজ, চকবাজার, পুলিশ লাইন, কান্দিরপাড়, বাখরাবাদ, আদালতপাড়া, রাজাগঞ্জ বাজারসহ অন্যান্য সড়কে। 

নিম্নমধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ সকালে বের হয়েছেন কর্মের খোঁজে। পাশাপাশি জরুরি সেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে। 

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক জসিম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিন বছর কুমিল্লায় রিকশা চালাই। এ বছর কিস্তিতে অটোরিকশা নিয়েছি। সপ্তাহে ১ হাজার ৭৫০ টাকা কিস্তি দিতে হয়। কাজ না করলে খামু কী।  কিস্তির টাকা পামু কই?

লিবার্টি চত্বরের পাদুকা শ্রমিক মিঠন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত বছর লকডাউনে নেতারা চাল-ডাল দিছে। এ বছর কিছুই পাই নাই। গরিব মানুষ করোনায় মরবে না, না খেয়ে মারা যাবে।

কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুন হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের ৬টি, জেলা পুলিশের ৭টি টিম নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আছেন। সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  অপ্রয়োজনে যারা রাস্তায় বের হয়েছেন, তাদের বাসায় পাঠানো হচ্ছে। যাদের মাস্ক নেই বা নিয়মভঙ্গ করছেন তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। বুধবার ২১টি মামলায় ২৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লকডাউন যে কয়দিন চলবে, প্রশাসন মাঠে থাকবে। 

এসপি