উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনের প্রার্থী হয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ। প্রথমে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রের নির্দেশে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর পেয়েও যান কাঙ্ক্ষিত নৌকা প্রতীক। তবে আসন সমঝোতার কারণে এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ। এতে এক প্রকার দুই কূলই হারালেন আব্দুল হাই আকন্দ। দলের এ সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এ নৌকার মাঝি। 

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ কথা বলেন।

আব্দুল হাই আকন্দ বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমার ত্যাগ স্বীকার করার অভ্যাস আছে। বাংলাদেশের বৃহৎ স্বার্থে আমি দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। সংবাদ সম্মেলন করার উদ্দেশ্যে হচ্ছে মুক্তাগাছার জনগণকে সান্ত্বনা দেওয়া। আমি নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে মুক্তাগাছার সাধারণ মানুষ সর্বাত্মকভাবে আমার পক্ষে ছিলেন। তারা আমাকে নিয়ে নতুন আশার আলো দেখতে পেয়েছিলেন। যে কারণে তাদের আমি সান্ত্বনা দেই।

তিনি বলেন, আমি আগেও দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছি। কিন্তু কখনো আওয়ামী লীগ ছেড়ে যাইনি। কারণ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে... আওয়ামী লীগ ছাড়া এমন বিকল্প কোনো দল নেই।

প্রায় ছয় দশক ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে তিনি সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। 

এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। দ্বাদশ নির্বাচনে তাকে বাদ দিয়ে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় আব্দুল হাই আকন্দকে। এদিকে, এ আসনে জাপার মনোনয়ন পেয়েছেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি। ২০১৪ সালে এ আসনে জাপার প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

উবায়দুল হক/কেএ