আমি হয়তো আর ইলেকশন করব না : শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, যে বাড়িতে একটি ছেলে মাদক খায় সে বাড়ি দোজখ হয়ে যায়। আমি মাদক ও ইভটিজিং বন্ধ করতে চাই। যে মাদক বিক্রি করে সে ইবলিশ। আমি হয়তো আর ইলেকশন করব না, কিন্তু এর আগেই এই কাজগুলো করতে চাই।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
শামীম ওসমান বলেন, আমি গতবারও ভোট চাইনি, এবারও চাইবো না। আমি মনে করি আপনার জ্ঞান আমার চেয়ে বেশি। কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ আপনি জানেন। আমার কাজ আমি করে যাব, কবুল করবেন আল্লাহ। পৃথিবীর সব মানুষ আমার পক্ষে থাকলেও আল্লাহ বিপক্ষে থাকলে আমি কিছুই করতে পারব না। আমার বাবা ও দাদা সবাই এমপি ছিলেন। অনেকে রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে নেয়। আমরা রাজনীতিকে ইবাদত হিসেবে নিয়েছি। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। মানুষের জন্য কাজ করলে আল্লাহ যদি খুশি হন আপনারাও খুশি হবেন। আমরা ১২ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার কাজ করেছি এই এলাকায়। আমি কিছু করিনি। আল্লাহর হুকুমে শেখ হাসিনার উসিলায় আমরা এগুলো করতে পেরেছি।
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী প্রচারণায় যে পরিমাণ মানুষ হয় তার মধ্যে প্রতি পরিবার থেকে অন্তত দুজন করেও কেন্দ্রে গেলে আমার নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ৫৫ শতাংশ ভোটার উপস্থিত হবেন। আর যদি পাশের বাড়ির লোকজন নিয়ে আসেন তাহলে ভোটার ৬৫ শতাংশ আসবে।
বিজ্ঞাপন
শামীম ওসমান বলেন, আমি হলাম সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লার বাসিন্দা। আমি মনে করি এ দুটি এলাকা গোপালগঞ্জের চেয়েও শক্তিশালী। আমার নির্বাচনী এলাকায় ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। গতকাল আমি কাশিপুর এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে আমি চাচ্ছিলাম মানুষ আমার থেকে কিছু দাবি করুক। কিন্তু কেউ কিছু চায়নি। তবে কিছু নারী এসে আমাকে বললেন, দেড় হাজার ফুটের একটি ড্রেন নির্মাণ করে দিতে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের অফিস তালাবদ্ধ থাকার বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, আওয়ামী লীগ অফিস তালাবদ্ধ কিনা আমার জানা নেই। আমি নির্বাচন করছি, মানুষের ঘরে ঘরে যাচ্ছি, আওয়ামী লীগের অফিসে যাওয়ার সময় আমার নাই। আমি আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা করছি, আপনারা (সাংবাদিক) দেখছেনই। আর রূপগঞ্জে সংঘর্ষ হয়েছে। নির্বাচনে এটা হতেই পারে। তবে এটা হওয়া উচিত না। পুলিশ সুপার, নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তার এ বিষয়ে নজর রাখা উচিত।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি সাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতি, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরএআর